ভূতের সিনেমা দেখতে কে না ভালোবাসে! যারা নিয়মিত সিনেমা দেখেন, তাদের অত্যন্ত পছন্দের জনরা হরর। বিশ্বব্যাপী অসংখ্য হরর মুভি রয়েছে যা দর্শকদের হাড় কাঁপানো ভয় দেখাতে সক্ষম হয়েছে। দর্শকরা এইসব সিনেমা দেখে হারিয়েছেন ভয়ের রাজ্যে। গা ছমছম ভয় জাগানো এমন ৭টি সিনেমা নিয়ে আজকের প্রতিবেদন, যেগুলো দেখলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনারও।
সেই বছর সেরা সিনেমা তো বটেই, সেরা অভিনেত্রী হিসেবেও পুরস্কারের মঞ্চে বাজিমাত করেছিল হেরেডিটারি। সময় থাকলে দেখে নিতে পারেন।দ্য শাইনিং : বিখ্যাত লেখক স্টিফেন কিং-এর উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৮০ সালে তৈরি হয়েছিল দ্য শাইনিং। ভৌতিক সিনেমার জগতে এটি একটি ক্লাসিক নিদর্শন। চিত্র সমালোচকরা আবার দ্য শাইনিং-কে ক্লাসিকদের মধ্যে সেরার তকমা দিয়ে থাকেন। পুরনো দিনের সিনেমা হলেও এটি দেখে আজকের প্রজন্মের গায়েও কাঁটা দেয়। চাইলে দেখে নিতে পারেন।
দ্য রিং : ২০০২ সালের সুপারহিট হরর ফিল্ম ‘দ্য রিং।’ ১৯৯৮ সালের জাপানি চলচ্চিত্র রিং-এর রিমেক এটি। সাদা পোশাক পরা কালো লম্বা চুলে মুখ ঢাকা এক তরুণীর একটি ভিডিও রয়েছে। সেই ভিডিও যে দেখছে সাতদিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হচ্ছে। এই ভয়ানক অলৌকিক ঘটনা দেখতে দেখতে শিউরে ওঠবে দর্শকরা। সিনেমাটির চরিত্রগুলির মতো প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু ভয় যেন তাড়া করে বেড়ায় দর্শকদেরও।
হ্যালোউইন : বাংলায় ভূত চতুর্দশীতে যেমন পরিবারের লোকেরা রাতের বেলা বাইরে বের হতে মানা করেন, তেমনই হয়তো হ্যালুইনেও পশ্চিমা দেশের লোকজনও ছোটদের সাবধান করে দেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয় না। ১৯৭৮ সালের চলচ্চিত্র হ্যালোউইন আপনার শিড়দাঁড়াকে হিম করে দেবে। সাতের দশকে এধরনের সিনেমা আশা করাই যেত না। সিনেমাটি সাতের দশকের হলেও তার প্রেক্ষাপট ছয়ের দশকের। এক হ্যালোইনের রাতে ছয় বছরের ছোট মাইকেল তাঁর দিদিকে ছুরি দিয়ে খুন করে। তাকে পাঠানো হয় রিহ্যাবে। বছরের পর বছর সেখানে থেকেও তাঁর বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয় না। মাইকেল কি সত্যিই অপরাধ করত নাকি কেউ ওকে দিয়ে অপরাধ করাতো? সেই নিয়েই এগিয়েছে হ্যালোইনের গল্প। সিনেমাটি দেখতে গেলে সাহস লাগবে দর্শকদেরও।
ইনসিডিয়াস : ২০১০ সালের চলচ্চিত্র ইনসিডিয়াস। নতুন বাড়িতে উঠে যাওয়া এক পরিবারের গল্প এটি। মা-বাবা-ছেলে-মেয়ে। ছেলেটি কোমায় আচ্ছন্ন। প্রথম কিছুদিন সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তারপরই বাড়িতে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে শুরু করে। কোমায় আচ্ছন্ন ছেলেটি হঠাৎ করেই সুস্থ হয়ে যায়। তাঁর হাত দিয়েই হতে থাকে নানা অলৌকিক ঘটনা। সিনেমাটির বক্স অফিস কালেকশন যেমন অসাধারণ, তেমনই ভয়ানক এর দৃশ্য এবং সাউন্ড এফেক্ট। এর আগে চারকি কিস্তি মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির যার প্রতিটি বক্স অফিসে দারুণ সফল। গত বছর এটির পঞ্চম কিস্তি মুক্তি পেয়েছে। ভৌতিক সিনেমার ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে ইনসিডিয়াস অন্যতম সেরা হয়েই থাকবে।
ইট : মুখে রঙের আল্পনা আঁকা সং বা ক্লাউনকে আচমকা দেখলে ভয় তো লাগবেই। ২০১৭ সালের ইট সিনেমাতে ভয়ানক ক্লাউনটি যখন তখন চমকে দেবে দর্শককে। ১৯৭৩ সালের এক্সরসিস্ট সিনেমার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল এটি। এক পরিত্যক্ত ভাঙাচোরা বাড়িতে এক রহস্যজনক ভিডিও টেপ পায় একদল কিশোর। প্রোজেক্টরে ছবি চালিয়ে সেখানেই প্রথম ভয়ানক দর্শক ক্লাউনের দেখা পায় তারা। কী কারণে ওই ভয়ানক ক্লাউন কিশোরের দলকে তাড়া করে বেড়াতো, তাদের গায়েব করে দিত, তা জানতে সিনেমাটি দেখতে হবে। সময় থাকলে দেখে ফেলুন সিনেমাটি।
দ্য এক্সরসিস্ট : ১৯৭৩ সালের চলচ্চিত্র ‘দ্য এক্সরসিস্ট।’ এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ের সিনেমা বলে দাবি করেন অনেকেই। তবে আজকের প্রজন্ম এই সিনেমা দেখে বিশেষ ভয় না পেলেও যে সময়ে এটি মুক্তি পেয়েছিল সেই সময় এর চেয়ে ভয়ানক কিছু আর কেউ দেখেননি। কিশোরীর শরীরে প্রবেশ করেছে এক পিশাচ। নানা ভাবে তাকে এবং তাঁর পরিবারকে উত্যক্ত করছে সেই পিশাচ। ভয়ানক সব অঙ্গভঙ্গি, হিংস্রতা এবং স্পেশাল এফেক্টস সেই সময়ের দর্শককে বাকরুদ্ধ করে ফেলেছিল। এর বক্স অফিস কালেকশন ছিল অসাধারণ। সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট নয়টি বিভাগে অস্কার নমিনেশন পেয়েছিল সিনেমাটি। ২টি বিভাগে জয়ীও হয় এক্সরসিস্ট। পরবর্তীকালে এই সিনেমার অনুসরণে একাধিক সিনেমা তৈরি হয়েছে। তবে দ্য এক্সরসিস্ট এখনো সেরার সেরা। ভৌতিক জগতের নেশা থাকলে দেখে নিতে পারেন সিনেমাটি।