আব্দুর রহিম পলাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা
প্রাচ্য পলাশ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। খুব অল্প সময়ের
ব্যবধানেই তিনি স্যুটিংয়ে যাবেন। সম্প্রতি তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে
স্টেশনের ওপর একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, যার প্রমোশনাল
ইতোমধ্যেই ইউটিউব চ্যানেল প্রাকৃত টিভিতে প্রকাশিত হয়েছে। সময়ের
আলোচিত চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রাচ্য পলাশের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিয়ে
লিখেছেন সাংবাদিক ……………………………………………….।
সূর্য উঠলে ভোর হয়, গোটা পৃথিবী আলোচিত হয়। পৃথিবী মুক্ত হয় অন্ধকার
থেকে। পৃথিবী থেকে অন্ধকার দূর করে যে সূর্যটা, তা উদিত হয় পূর্ব দিক
থেকে। আর এই পূর্বদিকের প্রতিশব্দ হলো প্রাচ্য। তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা
প্রাচ্য পলাশের নির্মাণগুলোও সর্বদা আলোকিত। ইতোমধ্যে বেশকিছু
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, টিভি বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র, টেলিফিল্ম, ছোট পর্দার চলচ্চিত্র
(একক ও ধারাবাহিক) নির্মাণ করেছেন। তারকাবহুল এ চলচ্চিত্রগুলো ইতোমধ্যে
দর্শকমহলে সমাদৃত হয়েছে। প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র,
টেলিফিল্ম ও বেশকিছু একক নাটক।
চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রাচ্য পলাশ যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে
যাচ্ছেন তা পরিপূর্ণ বিনোদনে ঠাসা রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের।
গতানুগতিক চলচ্চিত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া দর্শকদের এজন্য এটা একটা
সুসংবাদই বটে। বর্তমানে তিনি স্যুটিংয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্যান্য
নির্মাণগুলোর মতোই নবীন ও খ্যাতিমান তারকা থাকছেন প্রাচ্য পলাশের এ
চলচ্চিত্রে। কেন্দ্রীয় চরিত্রের কাস্টিং এখনো শতভাগ নিশ্চিত করলেন না তিনি। তবে
নির্মিতব্য তাঁর এ চলচ্চিত্রে নায়িকা চরিত্রে সময়ের আলোচিত মুখ নুসরাত
ফারিয়া, নাজিফা তুসি ও তানজিন তিশা এদের মধ্যে থেকে যে কোন একজন
থাকবেন। গল্পের ধরণ ও নায়িকা নির্বাচনের আলোকে ধরা যেতে পারে তিনি বাংলা
সিনেমার দর্শক চাহিদা পুরণ করতে পারবেন বলেই মনে হয়।
তাঁর প্রচারের অপেক্ষায় যে চলচ্চিত্রগুলো রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রামাণ্য
চলচ্চিত্র ‘দ্য ইভাল্যুয়েশন, ইন্ট্রোডিউসিং অব চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন’,
একক নাটক ‘আঁধার আবৃত মেঘ’ ও ‘হৃদয় ভাঙার বাঁকে’। আগামী ২৬ মার্চ
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য ইভাল্যুয়েশন,
ইন্ট্রোডিউসিং অব চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন’ ইউটিউব চ্যানেল
প্রাকৃত টিভিতে অনএয়ার হবে।
প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণের পেছনের গল্প জানতে চাওয়া হলে চলচ্চিত্র নির্মাতা
প্রাচ্য পলাশ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীত গম্ভীরা গান ও
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার নিয়ে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের
আগ্রহটা অনেক বেশি ছিল। গম্ভীরা গান নিয়ে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের
জন্য গম্ভীরা শিল্পীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনও করা হয়েছিল। কিন্তু প্রামাণ্য
চলচ্চিত্র দু’টি নির্মাণে যাঁদের ভূমিকা নিবিড়ভাবে দরকার তারাই এ ব্যাপারে
আগ্রহী না হওয়ায় তা বাস্তবায়নের কাজ অগ্রসর হয়নি। পরবর্তিতে ভিন্ন
পরিকল্পনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনকে ঘিরে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য ইভাল্যুয়েশন,
ইন্ট্রোডিউসিং অব চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন’ নির্মাণ করি। প্রামাণ্য
চলচ্চিত্রটি নির্মাণে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ
রেলস্টেশন মাস্টার মো: মনিরুজ্জামান, রেল শ্রমিক সর্দার মো: নুরনবী,
আউটসোর্সিং প্রশিক্ষক পলাশ চন্দ্র প্রামাণিক ও তরুণ কবি অরণ্য ইয়াকিন,
তাদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশ করছি।
প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি থেকে দর্শকবা কি পাবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রাচ্য পলাশ
জানান, প্রামাণ চলচ্চিত্র ‘দ্য ইভাল্যুয়েশন, ইন্ট্রোডিউসিং অব
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন’ এ শুধুমাত্র যাত্রীভাড়া ও ট্রেন ছাড়ার সময় ছাড়া
অন্য তথ্যগুলো অপরিবর্তনশীল। প্রতিদিন কয়টা ট্রেন আসা-যাওয়া করে, যাত্রীভাড়া
কেমন, রেলস্টেশনে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন রয়েছে ইত্যাদি সম্পর্কে
একটা পরিচ্ছন্ন ধারণা তৈরি করবে এ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি। মূলত রেলযোগাযোগ
ব্যবস্থার উন্নয়ন, উন্নত যাত্রীসেবার নিশ্চয়তা ও রেলকে ভ্রমণকারীদের পছন্দের বাহনে
পরিণত করার উদ্দেশ্যেই এ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন বলেও তিনি
উল্লেখ করেন।