গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় গতকাল বুধবার থেকে (১লা মার্চ – ৪মার্চ) শুরু
হয়েছে ৪ দিন ব্যাপী কবি সুকান্ত মেলা। সংস্কৃতি
বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও মেলা উদ্ধসঢ়;যাপন কমিটি
এ মেলার আয়োজন করেছে।
কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া
গ্রামে কবির পৈত্রিক ভিটায় জারি গান, সামাজিক
যাত্রাপালাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রামীন এ মেলা
অনুষ্ঠিত হবে। এই মেলাকে ঘিরে উপজেলা ব্যাপি বইছে
উৎসবের আমেজ। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা
বাহিনী কবির বাড়ীটি সার্বক্ষনিক ভাবে মনিটরিং
করছে। অপরদিকে এই মেলাকে কেন্দ্র করে নবরুপে সেজেছে
কবির বাড়ী ও এর আশপাশের এলাকা।
কোটালীপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান
হাওলাদার বলেন, এ মেলাকে ঘিরে উপজেলা ব্যাপি বইছে
উৎসবের আমেজ। আমরা উপজেলা পরিষদ থেকে এ মেলায়
সার্বিক সহযোগীতা করে আসছি। আগামীতে এ মেলা
যাতে অব্যাহত থাকে সে জন্য আমি কাজ করে যাবো।
জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু বলেন, দীর্ঘ
দিন ধরে আমরা কবির জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী রাষ্ট্রীয় ভাবে
পালনের জন্য আন্দোলন করে আসছি। আমাদের আন্দোলন
কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছে। এ বছর আনন্দমুখর
পরিবেশে মেলাটি উদ্ধসঢ়;যাপিত হবে।
কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদের সভাপতি শেখ আয়নাল
হোসেন বলেন, আমি চাইবো সরকার কবির স্মৃতিকে
ধরে রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। বিশেষ করে
কবির পৈত্রিক ভিটায় একটি পর্যটন কেন্দ্র ও একটি
আধুনিক লাইব্রেরি গড়ে তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে
কবিকে তুলে ধরবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিলাল হোসেন বলেন, উপজেলা
পরিষদ এবং স্থানীয় সুধী জনদের সহযোগীতায় সংস্কৃতি
বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেলা উদ্ধসঢ়;যাপন কমিটি এ মেলা
আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। আমি চাইবো প্রশাসন ও
এলাকাবাসী যেন আগামীতে কবির স্মৃতি ধরে রাখার জন্য
এ ধরনের মেলার আয়োজন করেন।
এ ছাড়া কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আদর্শকে বর্তমান
যুব সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দেবার জন্য আমাদের নানা
ধরণের উদ্যোগ গ্রহন করা উচিৎ। উল্লেখ্য ১৯২৬ সালের ১৫
আগষ্ট কবি সুকান্ত ভট্রাচার্য্য কলিকাতার কালীঘাটের
মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়ীতে জন্ম গ্রহণ করেন।
তার বাবার নাম নিবারন ভট্রাচার্য্য। মাতা সুনীতি দেবী।
১৯৪৭ সালের ১৩ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।
ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল- তার উল্লেখ
যোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও
বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।