উজ্জল: মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:
প্রজপতি সবচেয়ে রঙ্গিন ও স্পন্দনশীল । তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের
প্রতীক প্রজাপতিকেই প্রকৃতির অলংকার বলা হয়। কিন্তু প্রকৃতির
শোভা নানা বর্নের প্রজাপতির সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। এরা
ঝোপে ঝাড়ে বাড়ির আঙ্গিনার ধারে গাছ পালায় নদীর ধারে ফুলে ফুলে
প্রজাপতির ছুটে ছোট বড় সবার মনে খুশির দোলা দিয়ে যায়।
প্রজাপতির শরীর সাধারনত লম্বাটে ও উজ্জল বর্নের হয়ে থাকে । এর
আকর্ষণীয় রঙ্গের শীতল রক্ত যুক্ত পতঙ্গ। প্রজাপতির দৃষ্টি শক্তি ও ঘ্রাণ অত্যন্ত
প্রখর হয়। যা দিয়ে সে অনেক দুরের কাঙ্খিত ফুলের গন্ধ বা রং নিরুপন
করতে পারে। পৃথিবীতে কয়েক হাজার প্রজাপতি রয়েছে। প্রজাপতি পা
গুলাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার খাবার বা উদ্ভিদ খুজে বেড়ায়।
এদের খাদ্য সাধরনত ফুলের রেনু, গাছের রস, পচা ফল, গবর, পচনশীল মাংস
অথবা ময়লার দ্রবীভূত অবস্থায় থাকা খনিজ পদার্থ । তবে এ পতঙ্গটি
বেশির ভাগ ফুলের মধূ খেয়ে বাঁচে। প্রজাপতি বিভিন্ন গাছের ফূল
কে জড়িয়ে ধরে তার আহরন করে থাকে। এক ধরনের চিটিন নামক
প্রোটিনের স্তর দিয়ে তৈরী প্রজাপতির পাখা গুলা, যে গুলো তাদের কে
উড়তে সহায়তা করে। স্বচ্ছ চিটিনের চারপাশে বেষ্টন করে থাকে হালকা
তুলার মত পদার্থ। তাই আলো পড়লেই প্রতিফলন হয় এবং বিভিন্ন রং ধারন
করে। বিভিন্ন জাতের ফুলের পরাগয়নও ঘটে প্রজাপতির মাধ্যমে ।
প্রজাপতি নিয়ে রয়েছে আমাদের দেশে হাজারও কবিতা, গল্প,
উপন্যাস,নাটক ও কৌতুক। তবে প্রাকৃতি সৌন্দর্যের অলংকার
প্রজাপতি বিপর্যয়ের কারন হলো নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, নগরায়ন,
দর্শনার্থীদের সৃষ্ট শব্দ দূষণ, চিত্র ধারন কর্মকান্ড ইত্যাদির কারনে
প্রজাপতির জীবনকে করে তুলছে প্রতিনিয়নত বিপন্ন। তাই
গনসচেতনতাই পারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক প্রজাপতিকে
বাঁিচয়ে রাখতে ।