তামীম আদনান, কুষ্টিয়া :: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অপহৃত স্কুল ছাত্র আসিফের বাক্স বন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ছামের আলীর পূত্র মিশুক ও তার ছোট ভাই আশিকের বাড়ীতে তার বাক্স বন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মোঃ আসিফ (১৪) ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ কুতুব উদ্দিন স্বর্ণকারের পুত্র ও ধরমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র, তাহার রোল নং ৬৯। উল্লেখ্য, গত রবিবার দিনে দুপুরে আসিফকে অপহরনকারীরা তুলে নিয়ে গিয়ে আসিফের পিতা কুতুর উদ্দিন স্বর্ণকারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস.এম তানভীর আরাফাত, ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন সহ সঙ্গীয় অফিসারগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পিতা কুতুব উদ্দিন স্বর্নকার জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিবেশী ছামের আলীর ছেলে মিশুক আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে দিয়ে দুইবার সিগারেট কিনে আনায় এবং দুপুর পর্যন্ত আসিফ মিশুকের বাড়ীতেই ছিল। পরে বিকাল ৪টা ৪৮ মিনিট আমার মুঠোফোনে একটা কল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলে আসিফ আমার কাছে আছে, আধা ঘন্টার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ম্যানেজ করে আমাকে দিবি। তা না হলে তোর ছেলেকে আমি মেরে ফেলবো। এই বলে ফোনটা কেটে দেয়। পরে আমি আমার ছেলেকে খুঁজতে প্রতিবেশী মিশুকের বাড়ীতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি মিশুকের বাড়ীতে আসিফ নেই। সেই সাথে মিশুকও নেই। তারপর আমি মিশুকের ছোট ভাই আশিককে জিজ্ঞাসা করি তোমার ভাই কোথায়। সে বলে শশুর বাড়ীতে গেছে। আমি মিশুককে ফোন দেই এবং সে বলে তার কাছে আসিফ নেই। আমি মিশুকের ছোট ভাই আশিককে বলি যে নম্বর থেকে আমার কাছে টাকা চেয়েছে এই নাম্বার চিনো কি না। তারপর সে মোবাইলে নম্বর তুলে দেখা যায় এটা তার বড় ভাই মিশুকের মোবাইল নম্বর। ব্যাপারটি আমি ভেড়ামারা থানা পুলিশকে জানায়।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস.এম তানভীর আরাফাত জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হলে তাদের তথ্যের প্রেক্ষিতে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে স্কুলছাত্র আসিফের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের ব্যাপারে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপর বিস্তারিত জানানো হবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।