রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে গরুর খামার মালিকরা লাভের আশা করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
  • ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে

জয় মহন্ত অলক ;ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ভারতীয় গরুর আমদানি

বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে

গড়ে উঠেছে শতাধিক গরুর খামার।তাছাড়া এ বছর স্থানীয় গরুর

চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় কাংখিত লাভের আশা করছেন খামার

মালিকরা।

ঠাকুরগাঁও জেলা ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় প্রতিবছর

কোরবানির ঈদে ব্যাপক সংখ্যক ভারতীয় গরুর আমদানি

হতো।স্থানীয় হাটবাজার গুলো ভরে যেত ভারতীয় গরুতে।কিন্তু

গতবছর থেকে ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোরবানির

ঈদকে সামনে রেখে জেলায় গড়ে উঠেছে শতাধিক গরুর খামার।

বেশিরভাগ খামারে ৫/৬ মাস পূর্বে ছোট আকারের গরু কিনে

লালন পালন শুরু করা হয়।কাঁচা ঘাস, খড় ,ভূষি ,খৈল,কুড়া ,খুদের

ভাত খাইয়ে সম্পূর্ন প্রাকৃতিক উপায়ে চলছে গরু

মোটাতাজাকরণের কাজ।

প্রাণি সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় বড়

আকারে প্রায় অধর্-শতাধিক গরুর খামার রয়েছে। এসব খামারে

১০ টি থেকে ৬০ টি পর্যন্ত গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়।

এছাড়াও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলার আরো প্রায় ১৫

হাজার পরিবার নিজ বাড়িতে ২/৪টি করে প্রায় ৩০ হাজার গরু

লালন -পালন করেন।সর্বোপরি ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও জেলায়

প্রায় ৪০-৪১ হাজার গরু মোটাতাজাকরণের কাজ চলছে।এসব

ষাঁড় গরু দিয়ে জেলার চাহিদা ৩৩-৩৪ হাজার মিটিয়ে জেরার

বাইরে বিক্রি করে খামারীরা লাভের আশা করছেন।

কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় গরুর অবাধ আমদানির কারণে

কৃষক ও খামারিরা তাদের গরুর কাংখিত দাম না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ

হয়।তবে গতবছর থেকে ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ থাকায় খামারীরা

গরু পালনে উদ্বুদ্ধ হয়।এদিকে বাজারে স্থানীয় গরুর চাহিদা ও দাম

ভাল থাকায় এবার খামারিরা লাভবান হওয়ার আশা করছেন। তবে তারা

ভারতীয় গরুর ব্যাপারে এখনো শংকামুক্ত নন।তাদের দাবি,শেষ

মূহুর্তে যেন ভারতীয় গরু আমদানি করা না হয়,নইলে খামারীরা

মোটা অংকের টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্টোরেড জাতীয় টেবলেট প্রয়োগ করে

গরু মোটাতাজাকরণের কথা ঠাকুরগাঁওয়ের চিত্র ভিন্ন। এ জেলার

খামারীর সম্পূর্ন প্রাকৃতিক উপায়ে যতেœর মাধ্যমে গরু

মোটাতাজাকরণ কাজ করে আসছে। জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগও

তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষন করে বলেন,মানুষের স্থাস্থ্যের ক্ষতি

হয় এমন কোন কাজ করা হয়না এ জেলার খামারগুলোতে।

জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম

জানান,ঠাকুরগাঁও জেলায় খড় ভুষি কাঁচাঘাস খাইয়ে খামারে ও

গ্রাম পর্যায়ে বাড়িতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়।জেলার

কোথাও মানুষের স্বাস্থ্যেও ক্ষতি হয় এরুপ স্ট্রয়রেট বা হরমোন

জাতীয় ওষুধ প্রয়োগের কোন তথ্য নেই।তিনি আরো

জানান,গতবছর ভারতীয গরু না আসায় খামারীরা গরুর ভাল দাম

পেয়ে গরু পালনে উদ্বুদ্ধ হয়। এ বছর গরুর দাম ভাল পেলে আগামীতে

উদ্যোক্তা ও খামারের সংখ্যা উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451