ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলার তজুমদ্দিনে চুরি ও মাদক মামলার আসামী আটক করে থানায় নেয়ার
সময় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ওসিসহ ১৫ জন আহত
হয়েছে, আহতদের তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শুক্রবার(২৯জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
থানা ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময়
উপজেলার নতুন বাজার এলাকা থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল বিক্রি করার
সময় আসামী মিরাজ মাতাব্বর (৩০) কে আটক করে পুলিশ। আটকের পর
থানায় নিয়ে আসার সময় দক্ষিণ খাসের হাট বাজারে এলে আসামীর শশুর
ছায়েদুল হক ছাদু চৌকিদারের নেতৃত্বে তার ছেলেরা জামাতা
মিরাজকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা আসামী ছিনিয়ে
নেয়ার জন্য ওসিসহ চার পুলিশের উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত
হামলা চালায়।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে চৌকিদার ও তার লোকজনকে প্রতিহত করে।
এ সময় চৌকিদার ও তার লোকজনের হামলায় তজুমদ্দিন থানার অফিসার
ইনচার্জ ফারুক আহমেদ, এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই জসিম
উদ্দিন, কনস্টেবল মাহমুদ, লিটন, আমির হোসেন, নোমান, জামাল,
জসিম, মাকসুদসহ ১৫জন আহত হয়। আহতদেরকে তজুমদ্দিন
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানা সুত্র আরো জানান, আটককৃত
মিরাজের বিরুদ্ধে নেশা খাইয়ে চুরি, চোরা চালান, মাদক ব্যবসা, জাল
নোট ব্যবসা ও অস্ত্র আইনে লালমোহন ও তজুমদ্দিন থানায় ৫টি মামলা
রয়েছে। গত ২৭ মে রাতে শম্ভুপুর খাসেরহাট এলাকার জামাল উদ্দিন
মাষ্টারের ঘরে রাতের বেলায় নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে নগদ ৩৫ হাজার
টাকা, মোবাইলসহ বিভিন্ন মামলামাল নিয়ে যায়।
এঘটনায় জামাল মাষ্টার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে মোবাইলসহ
মিরাজকে আটক করা হয়। আটককৃত মিরাজ লালমোহন উপজেলার কালমা
ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চরছকিনা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের
ছেলে।শুক্রবার সে খাসেরহাট নতুন বাজার শশুড় বাড়ির এলাকায় চুরি করা
মোবাইল বিক্রি করতে আসলে পুলিশ তাকে আটক করে। এদিকে পুলিশের
উপর হামলার ঘটনায় ছাদু চৌকিদার, তার ছেলে ফরিদ, সেলিম ও কামালসহ
৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামী করে এসআই
মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
ফারুক আহমেদ বলেন, আসামী থানায় নিয়ে আসার সময় খাসেরহাট
বাজারে ছাদু চৌকিদার ও তার লোকজন আসামী ছিনিয়ে নেয়ার
উদ্দেশ্যে পুলিশের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা
হয়েছে আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।