সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

‘ কোন রাজনৈতিক দল ভুলের কারণে হারিয়ে গেলে এর দায় সরকার নেবে না’

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

 

ভুলের কারণে কোন রাজনৈতিক দল হারিয়ে গেলে এর দায় নির্বাচন কমিশন, সরকার বা মানুষ নেবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। আইএমও’র নির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্যাটাগরি ‘সি’-তে জয়লাভ উপলক্ষে এ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৫৩ বছরে কৌশল নির্ধারণ না করতে পেরে অনেক রাজনৈতিক দল নিঃশেষ হেয়ে গেছে। ভুলের কারণে কোন রাজনৈতিক দল হারিয়ে গেলে এর দায় নির্বাচন কমিশন, সরকার বা মানুষ নেবে না।

তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) নির্বাহী পরিষদে জয়লাভ বিজয়ের মাসে আরেকটি বড় অর্জন। এই অর্জন বাংলাদেশের বৈশ্বিক মেরিটাইম সেক্টর এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সমর্থনের প্রমাণ।

পঞ্চদল সংশোধনীতে অবৈধভাবে সরকার দখলের সুযোগ আর নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন বিএনপি মাঠে না থাকায় তারা উৎসাহিত হয়েছেন। প্রার্থী বেশি হওয়ায় আওয়ামী লীগ দুর্বল হবে না।

তিনি বলেন, যারা নির্বাচন থেকে সড়ে গেছে তারা চাপে আছে, আওয়ামী লীগ নয়। নির্বাচন খুবই অংশগ্রহণমূলক হবে ও ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড হবে। সারা দেশে নির্বাচনী ঝড় উঠে গেছে, কেউ থামাতে পারবে না। এ ঝড়ে যে পড়বে সে হাড়িয়ে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭৪টি দেশ নিয়ে আইএমও সংস্থা গঠিত। এখানে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেছিলাম নির্বাহী পরিষদের সদস্য হতে। আমরা এর আগে ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে কাউন্সিল হিসেবে ছিলাম। তখন সেটা নির্বাচিত না, সিলেকশনের মাধ্যমে হয়েছিল। যেসব দেশের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশন নিয়ে বিশেষ আগ্রহ আছে এবং যাদের কাউন্সিলে নির্বাচন বিশ্বের সব প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করবে, এমন ২০টি দেশ ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে। কাউন্সিল নির্বাচনে ‘সি’ ক্যাটাগরি সদস্য নির্বাচনে মোট ২৫টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৬৮টি বৈধ ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৮টি ভোট পেয়ে ১৬তম হয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে।

ক্যাটাগরি ‘এ’ তে আন্তর্জাতিক শিপিং পরিসেবা প্রদানে সর্বাধিক আগ্রহী এমন ১০টি দেশ নির্বাচিত হয়েছে। দেশগুলো হলো- গ্রিস, ইতালি, জাপান, চীন, নরওয়ে, পানামা, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, লাইবেরিয়া। ক্যাটাগরি ‘বি’ তে আন্তর্জাতিক সমুদ্রবাহিত বাণিজ্যে সর্বাধিক আগ্রহী এমন ১০টি দেশ নির্বাচিত হয়েছে। দেশগুলো হলো- ইন্ডিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রাজিল, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, সোমালিয়া। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে জয়লাভ করা ২০টি দেশ হলো- সিঙ্গাপুর, মালটা, সৌদি আরব, তুরস্ক, মিশর, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, চিলি, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাহামা, সাইপ্রাস, মরোক্কো, ডেনমার্ক, কাতার, বাংলাদেশ, কেনিয়া, পেরু, ফিনল্যান্ড, জ্যামাইকা।

উল্লেখ্য, আইএমও-তে দু’বছর পর ৪০ সদস্যের গভর্নিং বডি গঠিত হয়। ৪০ সদস্যের মধ্যে ‘এ’এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১০টি করে ২০টি এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ২০টি পদে নির্বাচন/মনোনীত হয়। বাংলাদেশ ১৯৮১ সালে আইএমও-এর সদস্য পদ লাভ করে এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত ক্যাটাগরি ‘সি’ এবং ২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্যাটাগরি ‘বি’ তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিনিধিত্ব করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451