বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
অবৈধ সম্পদ অর্জন সাবেক এমপির এপিএস অচীন কুমার দাসের দুই কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ আদালতের চীনের সাথে জোরালো আলোচনা চলছে শ্রীঘ্রই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। কুড়িগ্রামে উপদেষ্টা  সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান” তালায় দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমবায় সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ তালায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অধিকাংশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক কি আসলেই চালক? নাকি অন্য কোন এলাকার ফেরারি সন্ত্রাসী? বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে ইলিশের সুবাস: এক ট্রলারে ৬৫ মণ মাছ, বিক্রি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা তালপাতার পাঠশালা ২১ বছর ধরে শিশুশিক্ষায় জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন ‘পন্ডিত মহাশয়’ কালিপদ বিশ্বাস খুলনা-পাইকগাছা সড়কের তালা উপ-শহরের বেহাল দশা, জনভোগান্তি চরমে বাগেরহাটে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’ বাস্তবায়নে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত দীপা রানী সরকার তালা উপজেলার নতুন ইউএনও

সুন্দরগঞ্জে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭
  • ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

 

নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাল বৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় বেকাটারী ও বিশ^াস হলদিয়া

ধনের ভিটা নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে।

তাই আকাশে মেঘ দেখলেই শিক্ষার্থীরা বই-খাতা গুছিয়ে প্রস্তুতি নেন বাড়ি যেতে।

জানা গেছে উপজেলার রামজীবন ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বেকাটারী ও বিশ^াস হলদিয়া ধনের

ভিটা নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি ২০০৯ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠা করেন।

২০১৩ সালে বিদ্যালয় দুট্ধিসঢ়; জাতীয়করণ করা হয়। টিনসেড ঘরে চলে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। গত

১৫ এপ্রিল কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়টির টিনের চাল উড়ে নিয়ে যায়। সেই থেকে বিদ্যালয় দুটিতে

লেখাপড়া করার অনুপোযুক্ত হয়ে পড়ে। যার কারণে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান

কার্যক্রম। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজেই পাঠদান গ্রহণ করছে। মেঘ দেখলেই

শিক্ষার্থীরা বই খাতা গোছগাছ শুরু করেন। উক্ত বিদ্যালয় দুটিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায়

পাশের হার শতভাগ রয়েছে। সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায় খোলা আকাশের নিচে

পাঠদানের কারণে অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। বেকাটারী বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী

মঞ্জু মিয়া (রোল নং-১৮), চতূর্থ শ্রেণির ছাত্রী পল্লবী রানী (রোল নং- ১৫) জানান কাল বৈশাখী ঝড়ে

আমাদের বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হওয়ায় এখন অনেক শিক্ষার্থী আসছে না। কারণ বসার জায়গা নেই,

নেই পায়খানা-প্রসাবের ব্যবস্থা। এজন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই সরকারিভাবে

পাকা ভবন জুরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ করা দরকার। এনিয়ে কথা হয় সহকারি শিক্ষক মহসিনা বেগমের

সাথে। তিনি জানান, ভবন না থাকার কারণে ঠিকমত পাঠদান করা সম্ভব হয় না। কারণ খোলা আকাশের

নিচে পাঠদানে শিক্ষা উপকরণের সঠিক ব্যবহার করা যায় না। বেকাটারী নব সরকারি প্রাথমিক

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোজাফ্ধসঢ়;ফর হোসেন ও বিশ^াস হলদিয়া ধনের ভিটা নব সরকারি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেকুল ইসলাম’র সাথে কথা হলে তারা জানান গত ১৫ এপ্রিল

ঝড়ে বিদ্যালয় দুটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে লেখাপড়ায় ভাটা পড়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্তের তথ্য উপজেলা

প্রশাসনকে পৃথক পৃথকভাবে অবহিত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451