সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে নীতিমালা লঙ্গন করে মৃত ও
অমৎস্যজীবিদের নিয়ে মৎস্যজীবি সমিতি গঠনের লিখিত
অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে
লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার সোনাপুর মৎস্যজীবি
সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম। তার লিখিত
অভিযোগ থেকে জান যায়, হরিপুর শাপলা মৎস্যজীবী সমবায়
সমিতি মূত ব্যক্তি ও অমৎসজীবীদের নিয়ে হরিপুর শাপলা মৎস্য
জীবী সমবায় সমিতি’র পক্ষ থেকে করালজাল গ্রুপ জলমহালের
উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৪২৪-১৪২৯ বাংলা সন মেয়াদে ইজারা
নিতে আবদেন করে। আবেদনে উল্লেখ্য বেহেলী ইউনিয়নের হরিপুর
গ্রামের, মৃত কৃষক ও নোয়াগাও গ্রামের মৃত ব্যক্তি, পোষাক
শ্রমিক, দিনমজুর, ব্যবসায়ী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের নাম দিয়ে
শাপলা মৎস্য সমবায় সমিতি লিঃ গঠন করা হয়। বেহেলী ইউপি
চেয়ারম্যান কর্তৃক নোয়াপাড়া গ্রামের কবি রঞ্জন সরকার পিতা
কালী কুমার সরকার, হরিপুর গ্রামের মৃত অনন্ত সরকার পিতা জগৎ
চন্দ্র সরকারের মৃত সনদ সত্যায়ন হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক
আলোচনা চলছে। ২০১০ সালে সে মৃত্যু বরণ করায় মৃতের স্ত্রী
বিধবা ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন। একই গ্রামের নিকুঞ্জ বিহারী
রায় (৮৫) বলেন, মৃত কবিরঞ্জন সরকার, পাশ্ববর্তী নোয়াপাড়া
গ্রামের ২০১৩ সালে মৃত্যু বরণ করেন। গ্রামের ক’জন বলেন, মৃত
ব্যক্তিদের ১জন মারাগেছেন প্রায় ৭ বছর পূর্বে অপর মৃত ব্যক্তি৪
বছর পূর্বে মারা যান কি করে। মৃত ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে সমিতির
সদস্য করা হয় এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে।
শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিমল সরকার
বলেন, আমার সমিতির দুই জন সদস্য মারা গেছেন ও অবসর প্রাপ্ত
শিক্ষকও আছেন। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো: আবু তাহের
বলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার প্রত্যায়ন পেয়ে সমিতি নিবন্ধন
করেছি, যদি সমিতিতিতে অমৎস্যজীবি ও মৃত ব্যাক্তি পাওয়া যায়
তবে তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা মৎস্য
কর্মকর্তা মো: কামরুল ইসলাম কে মৃত ব্যাক্তি মৎস্য জীবির
তালিকায় কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করছি,
তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয়া হলে আপনারা জানতে পাবেন।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূন কুমার
চক্রবর্তী বলেন, হরিপুর শাপলা সমিতির উপর একটি লিখিত
অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে
প্রতিবেদন পেয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।