সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়ে আটক হওয়া ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ বুয়েট শিক্ষার্থীদের জামিন দিয়েছেন আদলত। জামিন পাওয়া ৩২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪ জন বর্তমানে অধ্যয়নরত, বাকি আটজন বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী।
এছাড়া দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিছুক্ষণ পর শিশু আদালতে তাদের জামিন চাইবেন আইনজীবী।
বুধবার (২ আগস্ট) জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাদের আইনজীবী তৈয়বুর রহমান বাবুল।
এর আগে রবিবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৪টায় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের নতুনবাজার পাটলাই নদী দিয়ে ট্যাকেরঘাট পর্যটন এলাকায় যাওয়ার পথে তাদের আটক করে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
সোমবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ বলেন, ৩১ জুলাই তাহিরপুর থানা উত্তর ইউনিয়নে দুধের আউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাটলাই নদীর পাড়ে জৈনক শহিদুল এর নৌকার মধ্যে হতে বুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত এবং বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ৩৪ জন শিক্ষার্থী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটানোর, জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধন এর উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্র এবং ধর্মীয় জিহাদ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর বিভিন্ন ধারায় এসআই রাশেদুল কবির বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন।
গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা হলেন- বুয়েটের শিক্ষার্থী আফিফ আনোয়ার, বখতিয়ার নাফিস, সাইখ মিয়া, ইসমাইল ইবনে আজাদ, সাব্বির আহম্মেদ, তাজিমুর রাফি, মো. সাদ আদনান, মো. শামীম আল রাজি, মো. আবদুল্লাহ আল মুকিত, মো. জায়িম সরকার, হাইছাম বিন মাহবুব, মাহমুদুর হাসান, খালিদ আম্মার, মো. ফাহাদুল ইসলাম, তানভির আরাফাত, এ টি এম আবরার মুহতাদী, মো. ফয়সাল হাবিব, আনোয়ারুল্লাহ সিদ্দিকী, আলী আম্মার মৌয়াজ, মো. রাশেদ রায়হান, সাকিব শাহরিয়ার, ফায়েজ উস সোয়াইব, আবদুর রাফি, মাঈন উদ্দিন, আবদুল বারি, বাকি বিল্লাহ, মাহাদি হাসান, তানভির হোসেন, আশ্রাফ আলী, মো. মাহমুদ হাসান, এহসানুল হকন।