ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-ঝালাকাঠির রাজাপুরের বামনখান গ্রামের
কবির হোসেন খন্দকারের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে প্রতিপক্ষের
লোকজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা চালিয়ে দেয়াল
ভাঙচুর, নগদ অর্থসহ দুইলক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুট, ঘরের
লোকজনকে মারধর ও বাড়িছাড়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ
ঘটনায় কবিরের স্ত্রী ফেরদৌসি কবির বাদি হয়ে গতকাল শুক্রবার
রাতে রাজাপুর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে
মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্র ও ফেরদৌসি কবির অভিযোগ
করে বলেন, তার স্বামীর চাকুরির কারনে স্ব-পরিবারে স্বামীর সাথে
থাকায় আমার খালি বাড়িতে উপজেলার পিংড়ি গ্রামের মৃতু
হোসেন খলিফার ছেলে সান্টু খলিফা (বাপ্পি) ও মৃত আমির
হোসেন খন্দকারের মেয়ে শিউলি বেগম বসবাস করতো। আমরা
বাড়িতে এসে তাদেরকে আমার ঘর থেকে চলে যেতে বললে তারা
আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। ঘটনার দিন চারজন রাজমিস্ত্রি দিয়ে
ঘরটির সংস্কারের কাজ করাতে গেলে শিউলি বেগম ও বামনখান
গ্রামের দুলাল হোসেন খনদকারের স্ত্রী হেলেনা বেগম মোবাইলে
সন্ত্রাসী বাহিনীকে খবর দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ঘর ও
ঘরের আসবাব পত্র কুপিয়ে-পিটিয়ে তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর করে
প্রায় দুই লক্ষাধকি টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় ঘরে থাকা ৯৫
হাজার টাকা মুল্যের দুইভরি ওজনের স্বর্ণের দুটি চেইন, ৪৮ হাজার
টাকা মুল্যের এক ভরি ওজনের স্বর্ণের দুটি কানের দুল এবং ৫০
হাজার টাকা সান্টু খলিফা ও এনাম হোসেন যৌথভাবে লুট করে
নেয়। আমি তাদের বাধা দিতে গেলে আমাকে মারধর করে এবং
মাটিতে ফেলে টেনে হেঁচড়ে শীøলতাহানি করে এ সময় আমাকে
রক্ষা করতে আমার ছেলে নাঈম ও নোমান এগিয়ে এলে তাদেরকে
প্রতিপক্ষের শিউলি বেগম, হেলেনা বেগম ও সাহাদাৎ হোসেন
মারধর করে আহত করে। প্রতিপক্ষের লোকজন মাদক ব্যাবসায়ী বলে
বর্তমানে তারা আমাদেরকে বাড়ি ছাড়াসহ হত্যার হুমকি ও মাদক
দিয়ে আমার ছেলেদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। ওসি
শেখ মুনীর গীয়াস ও এস আই চান মিয়া জানান, এ মামলার ৬ নং
আসামী শাহাদাত খন্দকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য
আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে।