আর আই সবুজ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ প্রকৃতির দরজায় কড়া
নাড়ছে শীত। দিন কয়েক বাদেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়বে
বাংলাদেশ। বাংলা মাস কার্তিকের শুরুতে সারা বাংলায় বইছে শীতল
হাওয়া। কনকনে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে দৈনন্দিন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে
যেতে হবে সবাইকে। ভোরের আকাশে ঘনকুয়াশায় যেন শীতের দেখা
মিলছে।
শীত অনেকের প্রিয় ঋতু হলেও এই সময়ই শরীরের ত্বকের বেশি ক্ষতি
করে। দিনে গরমের সাথে সাথে সন্ধার শুরুতে পড়ছে কুয়াশার
ফুলঝুরি। হেমন্তের দিনগুলো শেষ হতে না হতেই শীতের বুড়ি এসে
যেন জবরদখল করে নিচ্ছে আশেপাশের প্রকৃতি। শীতকালে বাতাসে
আর্দ্রতা কম থাকে বলে ধূলাবালি বেশি ওড়ে। ফলে কাপড়-চোপড়
খুবই দ্রুত ময়লা হয়ে যায়। অনেক টেকসই কাপড়ও এ সময় নরম
হয়ে পড়ে। একটু বাড়তিরকম সর্তক না থাকলে পৌষ-মাঘের এই
দিনগুলো আপনাকে বেশ দারুন ঝামেলাই পোহাতে হবে এই
দিনগুলোতে। সুতরাং শীত পুরোপুরি না আসতেই ঠান্ডার
দিনগুলোকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন সে ব্যাপারে পূর্ণ
প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
এতদিন যারা হালকা বা পাতলা কাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হতেন তারা
এখন শীতের ভারী কাপড় পড়তে শুরু করেছেন। সকালে ঘাসের ডগায়
আর বৃক্ষরাজির পাতায় পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু জানান
দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা আর
বিকেলের হিমেল বাতাসের শীতল হাওয়া।
নজিপুর পৌর শহরের একাধিক প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, শীত নামে
বেশ আগে ভাগেই। এবারো তার ব্যতয় ঘটেনি। পূর্ব আকাশে
কুয়াশা ঢাকা মুখ আর অল্প স্বল্প মরা রোদের ঝলকানিই মনে করিয়ে
দিচ্ছে শীতের আগমনকে বরণ করে নেওয়ার সময় এসেছে।
শীতের আগে পিঁপড়ার উপদ্রব বাড়বে। এমন কোন জায়গা নেই
যেখানে পিঁপড়ার দেখা পাবেন না। সুতরাং পিঁপড়ার অত্যাচার
থেকে বাচঁতে চাইলে নিজের জিনিসপত্র সঠিক জায়গায়,
সঠিকভাবে সংরক্ষণে রাখুন। যত্রতত্র পিঁপড়ার উপদ্রব থেঁকে বাচঁতে
এরোসল বা অন্য ওষুধ কিনে রাখুন এখনই।
শীতকে সামনে রেখে অনেকেই যারা পুরনো শীত বস্ত্র তুলে
রেখেছেন সেগুলো বের করছেন। কেউ কেউ আবার নতুন করে লেপ-
তোষক তৈরি করছেন। লপ-তোষকের কারিগরদের ব্যস্ততাই মনে করিয়ে
দিচ্ছে শীতকাল বেশি দূরে নয়। শীতের এ মাসগুলো যেন প্রত্যন্ত
অঞ্চলের নি¤œ- আয়ের মানুষের কাছে কবির সেই কবিতার লাইনটির
মত (“কারো পৌষ মাস, কারো বা সর্বনাশ”) অভিশাপ হয়েই
দেখা দেয়। অপরদিকে শীতের আগমনে বিওবানরা ছুটছেন শহরের
নামী-দামী বিপণী বিতান ও কাপড়ের মার্কেটগুলোতে।