ভোলা প্রতিনিধিঃ
টানা পাঁচ দিন বর্ষণ ও অতি জোয়ারে পানিতে তলিয়ে গেছে ভোলায়
জেলার বেশীরভাগ নিন্মঅঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পরেছেন লাখো মানুষ।
পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের ও ঘেরের মাছ এবং তলিয়ে গেছে রাস্তা
খাট ও ঘরবাড়ি।
সোমবার (২৪এপ্রিল) মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার পানি বিপদসীমার ৯০
সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি প্রবাহের স্বাভাবিক
মাত্রা হলো ২০০সেন্টিমিটার। এছারা ২৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত
রেকর্ড করা হয়েছে। এতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে বাঁধের
ভেতর ও বাইরের নিচু এলাকা।
এদিকে অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকায়
ফসলি জমি। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রায় নিয়েছেন উচু
এলাকায়। টানা বর্ষনে গৃহবন্দি হয়ে পরেছে দিনমজুরেরা। কাজে যেতে
না পারায় তাদের জীবনে নেমে এসেছে দূর্ভোগ।
প্লাবিত এলাকাগুলোর মধ্যে মনপুরা উপজেলার মনপুরা ও হাজিরহাট
ইউনিয়নের কুলাগাজির তালুক, কাউয়ারটেক,ঈশ^রগঞ্জ,সোনার চর,দাসের
হাট,কলাতলীর চর, পূর্ব ও পশ্চিম আন্দির পাড়,মাঝের গ্রাম,ভোলা সদরের
মাঝের চর,রামদাসপুর, রাজাপুর, দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর, মেদুয়া,
নেয়ামতপুর, মদনপুর এবং চরফ্যাশন উপজেলার
চরমাদ্রাজ,আছলামপুর,হাজারীগঞ্জ,জাহানপুর, চরকলমী, মজিবনগর,ঢালচর
ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এছারা ঝড়ো বাতাসে ভোলার সদরের ধনিয়া ও চরফ্যাশন উপজেলার
কয়েকটি ইউনিয়নে বেশকিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত
হয়েছে হাজারো ঘরবাড়ি।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে (ডিবিশন-২) নিবার্হী প্রকৌশলী
কাওসার হোসেন জানান,এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ জোয়ার। মেঘনা ও
তেতুঁলিয়ার পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে। আমবশ্যায় সৃষ্ট জোয়ারে এসব এলাকা প্লাবিত
হয়েছে। এছারা বর্ষার পানি সরে না যাওয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়নে
জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবজারভার মো. মনির হোসেন
জানান,বর্তমানে ভোলায় ৩নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত চলছে।
বিকাল থেকে রাত ৮পর্যন্ত জেলায় ২৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা
হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া আরো দু,তিনদিন থাকতে পারে।
এদিকে সকাল থেকে আবহাওয়া কিছুটা ভাল থাকলেও দুপুরের পর থেকে
ভারীবর্ষণ ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যায়।এতে বেশ কিছু এলাকার কাঁচা ঘর
বিধ্বস্ত হয়েছে। উপরে গেছে বেশ কিছু গাছ পালা। এছারাও বৈরী
আবহাওয়ার কারণে জেলার ৫উপজেলায় বিদ্যূৎ সঞ্চালন লাইনে বিপর্যয়
নেমে আসায় অনেক স্থানে বিদ্যূৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছ ।