এ রহমান কাযিন,কটিয়াদী(কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
বর্তমান সময়কার সবচেয়ে সফল বাণিজ্য হিসেবে কোচিং সেন্টারের কথা সাধারণ মানুষের কাছে অজানা নয়।
প্রতিটি স্কুল প্রতিষ্টানের সামনে গাছে কিংবা দেয়ালে টাঙিয়ে দেয়া হচ্ছে প্রতিটি কোচিং সেন্টারের ব্যানার। যাতে শিক্ষার্থীরা আকর্ষন হয় কোচিং সেন্টার গুলোতে। তবুও শিক্ষার্থীদের নানান কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন কোচিং থেকেই পড়া-লেখা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
বিভিন্ন নাম অার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নতুন নতুন কোচিং গড়ে উঠছে শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত। এরই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রতিযোগিতায় কোচিং সেন্টারের প্রচার ও প্রসার।
বাংলার প্রতিদিন এ প্রতিনিধির অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক ছাড়াই পড়ানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ভূগোলে অনার্স অধ্যায়নরত ছাত্র সেও শিক্ষক, ক্লাস নিচ্ছেন অাবার অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি। ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষক নিচ্ছেন উচ্চতর গণিত। অর্থনীতির শিক্ষকরা নিচ্ছেন বিজ্ঞান। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক ছাড়া গড়ে উঠছে ACC ক্ল্যাসিক কোচিং সেন্টার ও নিউক্লিয়াস কোচিং সেন্টারেও। অসচেতনতার কারনে নামধারী শিক্ষকদের কাছেই পড়তে হচ্ছে ছাত্র/ছাত্রীদের।
এছারাও স্কুল চলাকালীন সময় চলছে কোচিং,কিছু কিছু অসাধু শিক্ষক স্কুলের ক্লাস ফাকি কিংবা স্কুলে সুষ্ঠু পাঠদান না দিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন কোচিং সেন্টারে। ছাত্রদের কোচিং সেন্টারে অাসতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
এ নিয়ে কড়া সমালোচনা চলছে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের মাঝে।
সচেতন কিছু ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবক এর প্রতিকার চেয়েও পাচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। সচেতন শিক্ষক ও সাধারন অভিবাকদের প্রশাসন কর্তৃক এসব কোচিং বন্ধ সহ সকল কোচিং সেন্টারে নজরদারির মাধ্যমে এ সমস্যার দ্রুত প্রতিকার চায়।