কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে শীতকালীন সবজি। কৃষকদের পদধুলিতে ছোট ছোট চারা বেয়ে উঠছে। সবুজ শাক আর লালশাকে লাল-সবুজের বাংলাদেশের একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। মাঠজুড়ে এখন কৃষকের সবুজ স্বপ্ন। ভোরে মুয়াজ্জিনের আজান কানে আসতেই কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে মাঠে ছুটছে কৃষকরা। পরিবারে একটু সচ্ছলতা আনতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন তারা।
উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন থাকলেও শুধু শীতকালীন সবজি চাষ করেন ৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর-সভায়। মসূয়া,জালালপুর, লোহাজুরী ও কটিয়াদী পৌর সভায় কম বেশি সবজি চাষ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা জুড়ে ৮ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি ক্ষেতের চাষাবাদ হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে ফুলকপি,
বাঁধাকপি,বেগুন,মুলা,ডাটা,লা
তথ্য মতে, ৪৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি,
২০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি,
৯০ হেক্টর জমিতে বেগুন, ১০০ হেক্টর জমিতে মুলা, ১০০হেক্টর জমিতে ডাটা, ৬৫হেক্টর জমিতে লালশাক, ৬০হেক্টর জমিতে টমেটো, ৯০হেক্টর জমিতে লাউ,১১৫হেক্টর জমিতে সীম, ১২হেক্টর জমিতে বরবটি, ২০হেক্টর জমিতে শসা, ৫০হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া,
৬হেক্টর জমিতে পুঁইশাক,
৬৭হেক্টর জমিতে গোলআলু, ২৫হেক্টর জমিতে পালনশাক চাষাবাদ করা হয়েছে।
কৃষক পন্ডিত মিয়া জানান, ৬০ ঘন্ডা জমিতে সীম,গোল আলু, পেপে চাষ করতে ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৮ হাজার টাকা ফসল বিক্রি করেছেন তিনি। দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন। উওর চরপুক্ষিয়া এলাকার কৃষক মো.ইদু মিয়া জানান,২০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছি। এবার আলু কম হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন তিনি। অন্যদিকে আলুর দামও কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন,কটিয়াদীতে বিভিন্ন এলাকার বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করার জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সবজি ক্ষেতে পোকা-মাকড় দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে সেক্সপেরোমন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। কটিয়াদীরের সবজি ঢাকা কাউরান বাজারে পৌচাচ্ছে এমনটাই বলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর। এবার শীতকালীন সবজির ভালো দাম হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।