সিনেমার শুটিংয়ে নেই মাস চারেক, মে মাসে বন্ধ করলেন ২০১৪ সালে চালু করা লেডিস জিম। এরপর থেকে অপু বিশ্বাসের নামের পাশে ব্যবহার হচ্ছে ‘নিখোঁজ’, ‘আত্মগোপনে’র মতো শব্দ।
‘দেবদাস’ সিনেমার এ অভিনেত্রীকে অনেকদিন পাওয়া যাচ্ছে না মোবাইলে। অপুর অন্তরালে যাওয়ার কারণ হিসেবে ঢালিউড পাড়ায় নানান কথা চালু আছে।
বাংলার প্রতিদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে হাজির হয় অপুর খোঁজ নিতে। ওই এলাকার এ ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে কয়েক বছর ধরে থাকছেন অপু। পাশের বাড়ির দোতলায় ৮০০ বর্গফুট জুড়ে ছিল তার মালিকানাধীন ‘এপিএস লেডিস জিম’।
জিমের সামনে গিয়ে দেখা যায় একজন গাড়ি ধোয়া-মোছা করছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপরে যেতে চাইলে বলেন, ‘আমার নাম আলমগীর, আমি এ বাসার দায়িত্বে আছি। উপরে যেতে দেওয়া যাবে না।’
এখানে তো অপু বিশ্বাসের জিম ছিল? উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ, ছিল। এখন নেই। তাও প্রায় মাসখানেক হল।’ বন্ধ কেন? এমন প্রশ্নে বলেন, ‘তা আমি জানি না। উনার ইচ্ছে হইছে বন্ধ করছেন। আমি জানব কীভাবে!’
আলাপচারিতায় আলমগীর আরো বলেন, ‘অপু’দিকে আমি সর্বশেষ মাস দুয়েক আগে দেখেছিলাম। এরপর দেখি নাই।’
একই সুরে কথা বললেন অপুর অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার রাসেল। তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি এ বিল্ডিংয়ে নায়িকা অপু বিশ্বাস থাকে— কিন্তু তাকে এখনো চোখে দেখিনি। এখানে চাকরি নিয়েছি তিন মাস হতে চলল। শুনেছি তিনি নাকি ভারত চলে গেছেন।’
তিনি কি ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন?— এ প্রশ্নের উত্তরে, ‘না না, এরকম কিছুই তো শুনিনি।’
বাসা দুটির সামনের রাস্তায় বসে আড্ডায় মেতেছিলেন বেশকিছু যুবক। তাদের মধ্য থেকে আসাদ নামে একজন বলেন, ‘আগে অপু বিশ্বাসকে প্রায়ই জিমে আসতে দেখতাম। সর্বশেষ মাস চারেক আগে তাকে দেখেছি। এরপর আর দেখেছি বলে মনে পড়ে না।’
বাসায় যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি অপু বিশ্বাসের সহকারী শেলিকে। মোবাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে নিকেতন এলাকায় অনেকগুলো জিম আছে। এছাড়া জিম নিয়মিত দেখাশোনা করাটা দিদির পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছিল। তাই বন্ধ করে দেওয়া— আর কোনো কারণ নেই।’ উনি কোথায় আছেন এখন?— শেলির উত্তর ‘আমি ঠিক জানি না। আমার সাথে যোগাযোগ নেই।’
এদিকে শুটিংয়ে অংশ না নিলেও কিছুদিন আগে ‘সম্রাট’ ছবির ডাবিং করেছেন অপু। ‘পাঙ্কু জামাই’ ছবির পরিচালক আবদুল মান্নান বলেন, ‘অপুর সাথে আমার কিছুদিন আগে কথা হয়েছিল। উনি আমাকে বলেছেন শাকিব খান শিডিউল দিলেই তিনি আমার ছবিটির শুটিং শেষ করে দেবেন।’
তবে কিছুটা বিপদে পড়েছেন ‘রাজনীতি’র পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘ডাবিংয়ের জন্য ফোন করেছিলাম, তখন তার ফোন বন্ধ পাই। এরপর তার কোনো খোঁজ আমি পাইনি। একটা গানের জন্য তিনদিন ও কিছু দৃশ্যের জন্য একদিনের শিডিউল দরকার ছিল।’
এর আগে ২০১২ সালের দিকে অপু বিশ্বাস একবার বছর দেড়েকের জন্য ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘নিজেকে নতুনরূপে উপস্থাপনের জন্য একটু আড়ালে চলে গিয়েছিলাম।’ পরবর্তীতে দর্শক স্লিম অপুকে পেয়েছিল। কিন্তু এবার অন্তরাল থেকে ফিরে কী বলবেন ‘কোটি টাকার কাবিন’ সিনেমার নায়িকা— তা এখন দেখার বিষয়।