রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

নৌ ভ্রমনের উপযুক্ত স্থান ঐতিহাসিক চলনবিল

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬
  • ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

Chalanbil pic-Gurudaspur news-26-08-2016 (3)

মো. আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.

প্রতিবারের মতো এবারো পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ উৎসবে মুখরিত হতে চলেছে দেশের সর্ববৃহৎ চলনবিল। বর্ষাকালে

এ বিল দর্শনার্থী ও নৌ ভ্রমন পিপাসুদের জন্য উপযুক্ত স্থান। নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা জেলা নিয়ে ৮শ’ বর্গমাইল

জুড়ে এ বিলের পরিধি।

জানা যায়, ৪০০ বছর আগে ব্রহ্মপুত্র নদ যখন তার গতিপথ পরিবর্তন করে যমুনায় রূপ নেয়, সে সময়ই চলনবিলের সৃষ্টি।

বর্ষার সময় এ অঞ্চলের শ্রীরামপুর বিল, সাতইল বিল, চিনাডাঙ্গার বিল, হিয়ালার বিল, হুলহুলিয়া বিল, বড়িয়া বিলসহ

৩৯টি বিল, উত্তর চওড়ার মাঠ, ১৬টি নদী এবং ২২টি খালের পানির প্রবাহ বেড়ে এক বিশাল জলাধারের সৃষ্টি হয়।

সেটাই আজ ঐতিহাসিক চলনবিল নামে পরিচিত।

নাটোরের গুরুদাসপুর ও সিংড়া উপজেলায় চলনবিলের একটি বিশাল অংশ রয়েছে। বছরের প্রায় ৬ মাস এ বিলটি

পানিতে টইটুম্বুর থাকে। দূর থেকে এ বিলের পানির ওপর শুধুই গ্রাম ও সবুজ বৃক্ষ ভাসতে দেখা যায়। আর বিলের পাড়

ঘেষে সবুজের মাখামাখি যে কারোর দৃষ্টি কেড়ে নেয়। ঢেউ খেলে যাওয়া এই চলনবিলে পানকৌড়ি, কানিবক, সারস,

মাছরাঙা ও হাঁসের সরব উপস্থিতি। মানুষের পাশাপাশি তারাও ব্যস্ত থাকে মাছ ধরতে। মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ

করে এ জনপদের বেশিরভাগ মানুষ। চলনবিলে প্রতিবছর প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি শুঁটকি মাছের উৎপাদন হয়।

শীতকালে বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন পদ্ধতিতে সব ধরনের ফসলের চাষাবাদ করে থাকে এ অঞ্চলের কৃষকরা।

চলনবিল নামে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামে একটি জাদুঘর রয়েছে। স্থানীয় প্রয়াত অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ

ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় নিজ বাড়িতে ১৯৭৮ সালে গড়ে তুলেছেন ব্যতিক্রমী এ সংগ্রশালা। চলনবিলে প্রাপ্ত নানান

নিদর্শন, মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম ছাড়াও এখানে আছে অনেক দুর্লভ সংগ্রহ। চলনবিলের আকর্ষণীয় একটি বিল

নলডাঙ্গা উপজেলার ্#৩৯;হাইতি বিল্#৩৯;। নাটোর জেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এ বিলের অবস্থান। হাইতিকে

দেশের সবচেয়ে গভীর বিল বলা হয়। বর্ষায় পানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ১২ মিটার গভীর এই বিলে সারাবছরই

পানি থাকে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে বনপাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ মহাসড়ক তৈরি হয়েছে চলনবিলের বুকেই। এ

সড়কের দুই পাশে চলনবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় দুচোখ ভরে। পার্শ্ববর্তী সিংড়া উপজেলার পেট্রো-বাংলা

জিরো পয়েন্ট জনপ্রিয়তা পেয়ে এখন চলনবিল পয়েন্টে পরিণত হয়েছে এবং এ বিলগর্ভে অবস্থিত দর্শনীয় ঘাসি

দেওয়ানের মাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়।

দেশের সকল প্রান্তের পর্যটক, নৌভ্রমন ও দর্শনার্থীদের ভীর জমে এই চলনবিলে। দূর-দূরান্ত থেকে আগতদের জন্য নাটোর

জেলা সার্কিট হাউজ সহ গুরুদাসপুর ও সিংড়া উপজেলায় বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451