গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর ড. খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন বলেছেন, লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ শুধু একজন ব্যাক্তি নয়, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। চলনবিলের মানুষের উন্নয়নে তিনি সারাটি জীবন ব্যায় করে গেছেন। নিজের ক্যারিয়ারকে বিসর্জন দিয়ে তিনি চলনবিলের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। চলনবিল জাদুঘর, চলনবিল এলাকায় ১২টি ডাকঘর, চলনবিল এম হক ডিগ্রী কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে তিনি চলনবিলে শিক্ষার আলো জ্বেলেছেন।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ কমপ্লেক্সে আয়োজিত শনিবার দুপুরে অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
খুবজিপুর এম হক ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রসুল উদ্দিন মৃধার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মকসুদুর রহমান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, রাবি’র ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুবজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন, মরহুম অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের ছোট ভাই সরদার হাসানুজ্জামান, এ্যাড. লোকমান হোসেন, উপাধ্যক্ষ আবুল কাশেম ও সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। পরে তাঁর আত্তার শান্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলনবিলের ইতিকথা, চলনবিলের লোকসাহিত্য সহ ২৬টি গ্রš’ রচয়িতা বগুড়া আজিজুল হক কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ ২০০৬ সালের ২৪ আগষ্ট বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।