বছর দুয়েক আগের কথা। ভারতের হায়দরাবাদের বানজারা হোটেলের মধুচক্রের আসর থেকে অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদকে টেনে হিঁচড়ে বের করার খবরে চমকে উঠেছিল চলচ্চিত্র মহল থেকে আম জনতা। পর্দার ওপারের হাঁড়ির খবর যেন প্রকাশ পাচ্ছিল শ্বেতার মধ্যে দিয়েই। ঠিক দু’বছরের মাথায় আবারও ঘটলো একই ঘটনা। একইভাবে ফিল্ম সিটির কাছের একটি আবাসন থেকে টেনে বের করে আনতে দেখা গেল আরও এক পরিচিত মুখকে। ‘সাবধান ইন্ডিয়া’ নামে ক্রাইম শো-তে অভিনয় করা এক অভিনেত্রীকে। শ্বেতার মতো তিনিও মধুচক্রের অংশীদার! তিনি ছাড়াও বুধবার মুম্বইয়ের গুড়েগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আর এক মারাঠি অভিনেত্রীকেও। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, এই মধুচক্রের মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে মহিলা বাছাই এবং লেনদেন বিষয়ক কথা, সবটাই ঠিক হয় সাইটেই। তারপর জায়গা মতো পছন্দের মেয়েদের পাঠিয়ে দেয়া হয় গ্রাহকের কাছে। এই কাজের বিনিময়ে অভিনেত্রীদের ঝুলিতে আসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। গ্রাহকদের সঙ্গে চুক্তি থেকে শুরু করে তাদের কাছে মেয়েদের পৌঁছে দেয়ার এই সম্পূর্ণটা দেখভাল করে একজন। যাকে ‘সাপ্লায়ার’ বলে ডাকা হয়। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়াতে গ্রাহক সেজে এই সাপ্লায়ারের সঙ্গেই যোগাযোগ করে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই পৌঁছে যায় মধুচক্রের ডেরায়। হাতেনাতে পাকড়াও হন ওই দুই অভিনেত্রী ছাড়া আরও দু’জন। তবে মধুচক্রের পান্ডাকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর ‘মাকড়ি’র শ্বেতা বসু প্রসাদের থেকেই শোনা গিয়েছিল, আরও অনেক পরিচিত মুখ এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাহলে কি শ্বেতা বা এই দুই অভিনেত্রী এক বিশাল জলাশয়ের কয়েক ফোঁটা জল মাত্র! এই ঘটনা কি সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে? মুম্বই পুলিশ খোঁজখবর শুরু করছে জোর কদমে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা