ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
বিএনপির সদ্য ঘোষিত জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে দলের চেয়ারপারসন
বেগম খালেদা জিয়ার নতুন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন
ঝিনাইদহের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. মসিউর রহমান।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলনে নাম
ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
হরিণাকুন্ডুু উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের মরহুম মনিরুদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে
মসিউর রহমানের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩০ জানুয়ারি। ১৯৭০ সালে তৎকালীন
পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে তার প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক জীবনের
আধুনিক ঝিনাইদহের রুপকার মসিউর রহমান একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে
সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ৮ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় সম্মুখযুদ্ধে তিনি
নেতৃত্ব দিয়েছেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করলে তিনি যোগ দেন।
১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ (সদর ও
হরিণাকুন্ডুু) আসন থেকে বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত
হন। মসিউর রহমান জাতীয় সংসদের হুইপও ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য
থাকাকালে এলাকায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব
উন্নয়ন হয়।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জননন্দিত এই নেতা বিএনপির গত কমিটিতে খুলনা
বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব পালন করেন। মসিউর রহমান
দীর্ঘদিন অত্যন্ত সফলভাবে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন
করছেন।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নির্বাচিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে
পড়লে ঝিনাইদহের গ্রামে গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।
তাঁরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস
চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানান। একই সাথে তাঁদের সুস্থতা
কামনা করেন।
মসিউর রহমানের সহধর্মিনী মাহবুবা রহমানও বিএনপির রাজনীতির সাথে
জড়িত। তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। বড় ছেলে ডা. বাবু
রহমান ও ছোট ছেলে শোয়াইব রহমান বাপ্পি রাজনীতির মাঠে রয়েছেন
সক্রিয়ভাবে। তাঁর মেয়ের নাম শামীমা রহমান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, সৌদি আরব, তুরস্ক,
সিরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, সোয়াজিল্যান্ড, আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড,
সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন, উত্তর কোরিয়াসহ বিশ্বভ্রমণে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা
রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মসিউর রহমানকে একাধিক হত্যার
চেষ্টা করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় জীবনে বহুবার জেলও খেটেছেন।