বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এসএসসি ও সমমানের পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে আটটি সাধারণ বোর্ডের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
এ বছর পুনঃনিরীক্ষার ফলে ঢাকা বোর্ডের ২০৫ জন শিক্ষার্থী ফেল থেকে নতুন করে পাস করেছেন।
এছাড়া দিনাজপুর বোর্ডের ৪৯ জন, সিলেটে ১৯ জন, কুমিল্লায় ১৩২ জন, যশোরে ৫৩ জন, চট্টগ্রামে ১৯ জন, বরিশালে ৫৩ জন, রাজশাহীতে ৭৪ জন এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী আগের ফলে অকৃতার্য হলেও পুনঃনিরীক্ষায় পাস করেছেন।
এবার ঢাকা বোর্ডে এক হাজার ২৮১ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ২১৫ জন, সিলেটে ১৫১ জন, কুমিল্লায় ৩৫৯ জন, যশোর ২৭৯ জন, চট্টগ্রামে ২৪৩ জন, বরিশাল বোর্ডে ১৬৩ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৩৭৩ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে ২৯৪ এবং কারিগরি বোর্ডের ৮৩ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
অর্থাৎ, ফল পুনঃনিরীক্ষণে ১০ বোর্ডের তিন হাজার ৪৪১ শিক্ষার্থীর মোট জিপিএ বেড়েছে।
ফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এবার ঢাকা বোর্ডে ১৯৯ জন শিক্ষার্থী ফল পুনঃনিরীক্ষায় নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম বোর্ডে ২৬ জন, সিলেটে ৬৯ জন, কুমিল্লায় ২৯ জন, রাজশাহীতে ১৭০ জন, যশোরে ১১২ জন, বরিশালে ৫৩ জন, দিনাজপুরে ১০৪ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে ৪৬ জন এবং কারিগরি বোর্ডের ৩ জন শিক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা ফি দিয়ে ফল পুনঃনিরীক্ষণে এসএমএসে আবেদন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
সাধারণত কোনো প্রশ্নের উত্তরে নম্বর না দেওয়া, নম্বর দিয়েও ভুলে তা মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ না করা এবং সব প্রশ্নের উত্তরে দেওয়া নম্বর যোগ করতে গিয়ে ভুল করেন পরীক্ষকরা।
এসব বিষয় পরীক্ষা করেই পুনঃনিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়েছে বলে বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন।