গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
সারাদেশ মাদকে ছেঁয়ে গেছে। কেউ মাদক বিক্রি করবেন না। মাদক থেকে সন্তানদের দূরে
রাখুন। তারমধ্যে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামসহ নাটোর জেলা এখন মাদক সেবন-বিক্রিতে
শীর্ষে আছে। প্রয়োজনে ভারত মিয়ানমার সিমানা সীলগালা করতে হবে। ফেন্সিডিল,
ইয়াবা, হেরোইনসহ সকল প্রকার মাদক দ্রব্য যেন এদেশে ঢুকতে না পারে। এজন্য সরকারকে
আরো আন্তরিকভাবে কঠোর হতে হবে। পরিকল্পিত মাদক দিয়ে আমাদের দেশকে ধ্বংস স্তুপে
পরিণত করার পাঁয়তারা চলছে। নেশার টাকার জন্য ছেলে মা, বাবা,স্ত্রীকে নির্মমভাবে
হত্যা করছে। যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। মেধাবীরা মাদকে ডুবে মরে যাচ্ছে।” পোষ্টার,
প্লাকার্ড আর হ্যান্ড মাইক নিয়ে এভাবেই মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছেন
প্রকৌশলী আমিন উল্লাহ (৬২)। কোন সঙ্গী-সাথী বা কারো সহযোগীতা ছাড়াই
তিনি তিনবছর ধরে এভাবেই নাটোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাদক বিরোধী
প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কাজই মানুষকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে সতর্ক করা।
তিনি রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশকে মাদকমুক্ত রেখে রাজনীতি করুন। শুধু
মুজিব মুজিব করলেই হবেনা। তাঁর আদর্শ হৃদয়ে ধারন করে সবাইকে মুজিব হতে হবে।
নইলে বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশকে বাঁচানো যাবেনা।
মাদকের বিরুদ্ধে জোর প্রচারনায় নামা আমিন উল্লাহর জন্মস্থান নাটোরের বড়াইগ্রাম
উপজেলার মেরীগাছা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে।
তিনি ১৯৬৯ সালে খুবজীপুর হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন এবং ১৯৮০ সালে
রাজশাহী প্রকৌশল কলেজ থেকে প্রকৌশলী ডিগ্রী লাভ করেন। ২০১২সালে পিডিবির
তত্বাবধায়ক বিষয়ক প্রকৌশলী থেকে অবসর গ্রহন করেন বলে জানাগেছে।
তার এই প্রচারনায় অনেকেই খুশি হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পাগলের প্রলাপ বলেও
আখ্যায়িত করছেন। তবে কে কি বললেন তিনি তার ভ্রক্ষেপ না করে পথেঘাটে প্রচার
চালিয়ে যাচ্ছেন।