মোঃ সামিউল আলম, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বিরামপুরের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা
প্রত্যাহারের দাবীতে ও ন্যাশনাল হোমিও ফার্মেসীর ভূয়া ডাক্তার গোলাম
মোস্তফা’র প্রতারণার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সাংবাদিক
সংগঠনগুলো।
২২ মার্চ, বুধবার বেলা ১০ ঘটিকার সময় বিরামপুরের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা
মোড় চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিরামপুর প্রেসক্লাব, টিভি
রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, বিরামপুর
রিপোর্টার্স ইউনিটি, উত্তরাঞ্চল ফেডারেল সাংবাদিক পরিষদ ও দিনাজপুর
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট-এর সকল সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এ সময়
বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব লিয়াকত আলী সরকার, পৌর আওয়ামীলীগের
সভাপতি রুহুল আমিন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিরামপুর
পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, প্রবীণ আইনজীবী
অ্যাডভোকেট মওলা বক্স, পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ সহ বিভিন্ন সামাজিক,
রাজনৈতিক, আইনজীবী সংগঠনের নেতৃবর্গ।
উল্লেখ্য যে, বিরামপুর পৌর শহরের ঢাকা মোড়ে খাঁন সুপার মার্কেটের ২য়
তলায় ন্যাশনাল হোমিও হল নামের একটি হোমিও চিকিৎসালয় অনেকদিন ধরে
ভূয়া চিকিৎসা ও ঔষুধ দিয়ে, এমনকি স্থানীয় ক্যাবল টিভি চ্যানেল সহ
বিভিন্ন ধরনের লিফলেট ও দেয়াল পোষ্টাওে ভূয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রোগীদের
সাথে প্রতারনা করে আসছিলেন ডা. গোলাম মোস্তফা নামের একজন ভূয়া
হোমিও চিকিৎসক। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং
সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতারণার শিকার একাধিক
রোগী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাঁর
প্রতিনিধি হিসেবে ম্যাসেঞ্জার পারভেজকে সেখানে পাঠান ঐ ডাক্তারকে
ডেকে আনার জন্য। খবর পেয়ে মোহনা টিভির প্রতিনিধি আকরাম
হোসেন, বিজয় টিভির প্রতিনিধি শাহিনুর আলম শাহিন ও প্রেসক্লাবের
সাধারন সম্পাদক মোরশেদ মানিকসহ কয়েকজন সাংবাদিক এর সত্যতা
যাচাইয়ের জন্য গত ৭ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুরে ন্যাশনাল হোমিও হলে যান। এ
সময় ডা. গোলাম মোস্তফা ও তার স্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যাবহার করে
তাদের অকাত্ত ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং বিভিন্ন রকম মিথ্যা
মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিতে থাকেন। এমন পরিস্থিতি দেখে তারা ওখান
থেকে বেরিয়ে চলে আসেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সব
ঘটনা খুলে বলেন। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে রোগীদের সাথে প্রতারণার
বিষয়টি প্রমানিত হলে ৮ মার্চ (বুধবার) উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিজে হাজির হয়ে ন্যাশনাল হোমিও হলে তালা
লাগিয়ে দেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ
করলে ডা. গোলাম মোস্তফা ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ দিনই (৮ মার্চ) দিনাজপুর আদালতে
বাদী হয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানি মূলক মামলা
দায়ের করেন।
এদিকে দিনাজপুর জেলার সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তীব্র নিন্দা ও
প্রতিবাদ জানিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সাংবাদিকদের নামে করা মিথ্যা
মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের
ডাক দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন।