সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সরকারী খাদ্য গোদাম থেকে পাচাঁরের
সময় ২টি ট্রলি ও ৫টন চালসহ ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এঘটনার প্রেক্ষিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোলাম
আউলিয়া,নিরাপত্তা প্রহরী তারি মিয়া,চালের ডিলার শফি আলম ও
রাইস মিল মালিক আলী হায়দারকে আসামী করে থানায় মামলা নং-
১২ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় মামলাটি দায়ের
করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহকারী অজয় চন্দ্র দাস।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের
রতনশ্রী গ্রামের চালের ডিলার শফি আলম ও জয়নগর গ্রামের রাইস
মিল মালিক আলী হায়দায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার
সরকারী খাদ্য গোদাম থেকে ৫০কেজি ওজনের ১০০বস্তা চাল ২টি
ট্রলি যোগে পাচাঁর করে সোলামানপুর নামক স্থানে নিয়ে যাওয়ার
সময় খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার এসআই রফিক ট্রলিসহ চাল
আটক করেন। এসময় ট্রলির চালকরা চালের বস্তাসহ ২টি ট্রলি রেখে
দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটককৃত চালের বস্তায় সরকারী খাদ্য
অধিদফতরের সীল মোহর রয়েছে এবং ১শত বস্তা চালের মধ্যে ১৮বস্তা
চাল পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খাদ্য গোদামের চাল রয়েছে।
পরে যাচাই বাচাইয়ের জন্য সন্ধ্যা ৬টায় আটককৃত চালের
বস্তাগুলো ট্রলিসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হেফাজতে
নেওয়া হয়। এবং রাত ৯টায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জবানবন্দি
নিয়ে রাইস মিল মালিক আলী হায়দার ও চালের ডিলার শফি আলমকে
গ্রেফতার করা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা গোলাম আউলিয়া
বলেন,আটককৃত চালের বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না,কারণ
আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
সাইফুল ইসলাম বলেন,সরকারী চাল পাচাঁরের ঘটনার প্রেক্ষিতে
২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আর ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গোদাম
কর্মকর্তা গোলাম আউলিয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী তারি মিয়াকে
গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিদের্শনা চেয়ে পত্র
পাঠানো হয়েছে। তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর
বলেন,গ্রেফতারকৃত আসামীদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।