সোহেল রানা সোহাগ,সিরাজগঞ্জ থেকেঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও সরঞ্জামাদি
সংকটের কারণে সু-চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষ।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহ উপজেলায় মোট ২৮ জন
চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ৬ জন। চিকিৎসক ও সরঞ্জামাদি
সংকটে খুরিয়ে খুরিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। ৩ লক্ষ্যাধিক মানুষের
চিকিৎসাসেবার জন্য ৩১ শয্যায় থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হয়েছে
কমপ্লেক্সটি। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও সরঞ্জামাদি সংকটে
মানসম্মত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে যেতে হচ্ছে
রুগীদের। যেখানে উপজেলা ২৮ জন চিকিৎসক বরাদ্দ থাকলেও বর্তমানে
কর্মরত আছ মাত্র ৬ জন। যেখানে প্রতিদিন আউটডোরে চিকিৎসা নিতে
আসে প্রায় ৪ শত মানুষ। এর মধ্যে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত ও থাকতে হয়। এই অল্পসংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে জরাতালি
দিয়ে চলছে তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এখানে
এক্সরে মেশিন সচল থাকলেও নেই টেকনোলজিষ্ট, নেই আল্টা মেশিন। অপারেশন
থিয়েটার থাকলেও চালুনেই সেটিও। হাসপাতালতি পরিস্কার রাখার জন্য
পরিস্কার কর্মী ৫ জন থাকার কথা থাকলেও আছে ২ জন যার কারনে
হাসপাতালটি পরিস্কার পরিছন্ন রাখা কষ্টকর হচ্ছে ২ জন পরিস্কার কর্মীর জন্য।
হাসপালে ২টি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও একটি দীর্ঘদিন হলো সড়ক দুর্ঘটনায়
কবলে পরে অচল। একটি কোন রকম চললেও ভরসাহীন চলতে হয় রুগীনিয়ে।
সরেজমিনে হাসপাতলটিতে গিয়ে এ সকল তথ্য জানতে পারা যায়। এ ছাড়াও
হাসপালটির প্রধান ফটকের সামনে ব্যাঙের ছাতার মত নামে বেনামে
অনুমোদনহীন ডায়গনষ্টিক সেন্টার গড়ে ওঠায় দূর্ভোগে পরতে হচ্ছে
রুগী ও রুগীর আত্মীয়দের। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনেই ডায়গনষ্টিক
সেন্টার থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা দিচ্ছেন চিকিৎকরা এমনটাই অভিযোগ
রুগীদের ।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা প.প.কর্মকতা ডা.মো.আমিনুল ইসলাম
জানান,আমি হাসপাতালটিতে নতুন জয়েন্ট করেছি। এখানে কিছু
সংখ্যক চিকিৎসক ও সরঞ্জামাদি জরুরী প্রয়োজন। আমি প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থার চন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।