শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সৌরভের অর্থের অভাবের চিকিৎসা হচ্ছে না। আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি’র সভাপতি হেলাল শেখকে প্রাণঢালা অভিনন্দন

ভোলায় জেলে পুনর্বাসনের চাল প্রকৃত জেলেদের মাঝে বিতরণের দাবি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০১৭
  • ৪২৯ বার পড়া হয়েছে

 

কামরুজ্জমান শাহীন,ভোলা প্রতিনিধি:

জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্যে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকা দেশের জাতীয়

মাছ ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করায় জেলার সাত উপজেলার

লক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়েছে।গত বুধবার থেকে এই এলাকায় ইলিশ

ধরা, মজুদ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এদিকে, বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য

সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ চাল বিতরণের কথা থাকলেও এখনো তা শুরু হয়নি।

জেলেদের দাবি দ্রুত ও প্রকৃত জেলেদের মাঝে যেন এবারে বরাদ্দকৃত চাল

বিতরণ করা হয়। না হলে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়বে তারা।

ভোলার চরফ্যাসনের ঢালচর এলাকার জেলে মো. জসিম ও হারুন বলেন, ইলিশ

সংরক্ষণের লক্ষ্যে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এটা ভালো পদক্ষেপ।

কিন্তু আমাদের জন্য বরাদ্দ চাল সঠিক সময়ে বিতরণ না হলে পরিবার পরিজন

নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে।

আমজাদ হোসেন বলেন, ১৫ বছর ধরে মাছ শিকার করছি। কিন্তু কখনো

সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত চাল পাইনি। তাই সরকারের কাছে দাবি

বরাদ্দকৃত চাল এবার যেন সঠিকভাবে এবং প্রকৃত জেলেদের মঝে বণ্টন

করা হয়।

একাধিক জেলেদের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে যখনি চাল বিতরণ

কার্যক্রম শুরু হয় তখনও সেই চাল তাদের ভাগ্যে জোটেনা, তাই

সঠিকভাবে প্রকৃত জেলেদের মাঝে চাল বণ্টনের দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য অফিসার মো. রেজাউল করিম জানান, গত বছর ৮৫

হাজার জেলে ছিল। তখন বরাদ্দ এসেছিলো মাত্র ৫২ হাজার জেলের। তাই

সবাইকে চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বছর জেলের সংখ্যা বেড়েছে তাই

সবার জন্য চাল বিতরণের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে

জানিয়েছি।

অপরদিকে, জেলের প্রায় ৮০টি মৎস্যঘাটে এক হাজারের বেশি মাছের

আড়ৎ এবং নিবন্ধনের বাইরে আরও লক্ষাধিক জেলে রয়েছে। দ্রুত জেলেদের

পুনর্বাসনের চাল বিতরণের দাবি তাদের।

এদিকে জেলা মৎস্য অফিস জানায়, ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর

রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এবং ইলিশা থেকে

মনপুরার চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকায় ১ মার্চ

থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস ইলিশ ছাড়াও সব প্রজাতির মাছ ধরা নিষেধ।

এই দুই মাস ইলিশসহ অন্য প্রজাতির মাছ ডিম ও প্রজনন কার্যক্রম

সম্পন্ন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451