সোহেল রানা সোহাগ,সিরাজগঞ্জ থেকে ঃ
সিরাজগঞ্জে শুটকি তৈরীতে মাছের বড় যোগান আসে মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত
চলনবিল থেকে। কিন্তু এবার একদিকে মাছ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শুটকি উৎপাদন অপরদিকে
বাজারে শুটকির দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে শুটকি ব্যাবসায়িদের। ফলে
দীর্ঘদিনের ব্যাবসা শুটকি উৎপাদনে উৎসাহ হারাচ্ছে ব্যাবসায়িরা।
সাধারণত আশ্বিন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জের
চলনবিলে চলে শুটকি উৎপাদন। সিরাজগঞ্জের পাশাপাশি নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর ও
পাবনার চাটমোহরের শতাধিক শুটকির চাতালে শুটকি উৎপাদন করা হয়। মাছ সংগ্রহের পর
দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রতি মৌসুমে প্রায় ৮০-১০০ টন শুটকি উৎপাদন করে
উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী, সৈয়দপুর, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো
হয়। এখানে প্রায় ২৬ প্রজাতির দেশীয় প্রজাতির মাছ থেকে সুস্বাদু ও ভালো মানের
শুটকি তৈরি করা হয়।
প্রতিবছর চলনবিলে পর্যাপ্ত পরিমানে শুটকি উৎপাদনের উপযোগি অবিক্রিত মাছ পাওয়া
গেলেও এ বছল তা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে চলনবিল ছাড়াও অণ্যান্য স্থান
থেকে মাছ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অপরদিকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় করেও প্রতিবছরের মত
এবার ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে না। কারন হিসেবে ব্যাবসায়িরা জানান, প্রতিবছর
চলনবিলের শুটকি ভারতে রপ্তানি করা হলেও এ বছল ভারতে কোন মাছ পাঠানো যাচ্ছে না। যার
ফলে শুটকির উপযুক্ত দাম পাওয়া যাচ্ছে না। আর এ অবস্থা থাকলে এই কাজের সাথে জড়িত
কয়েক হাজার পরিবার কর্মহীন হয়ে পরবে বলে জানান, শুটকি উৎপাদনকারী । মোঃ নাছির
উদ্দিন, মোঃ হবিবর আলী, মোঃ যোহর আলী , আযনুল হক বলেন,,
তাড়াশ উপজেলা মৎস কর্মর্কতা মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন,
চলনবিলে অবিক্রিত মাছ গুলো সংরক্ষনের জন্য একটি হিমাগার নির্মান করা গেলে
কর্মসংস্থানের পাশাপাশি যেসব অঞ্চলে মাছের ঘাটতি রয়েছে সেখানে শুটকি মাছের
চাহিদা পুরন করতে পারে। আর আধুনিক পদ্ধতিতে শুটকি তৈরী করা হলে বিদেশেও রপ্তানী
করা সম্ভব বলে মনে করেন এর সাথে সংশ্লিষ্ঠরা।
শুটকি উৎপাদনে মাছের বড় যোগান আসে চলনবিল থেকে। আর পযাপ্ত পরিমানে মাছ পাওয়া
গেলে এ মৌসুমে ১৮-২০ কোটি টাকা মুল্যের শুটকি তৈরি সম্ভব উল্লেখ করে শুটকি
তৈরীতে নানা সমস্যার কথা জানালেন এই মৎস্য কর্মকর্তা ।