মোঃ আশিকুর রহমান(টুটুল),নাটোর ব্যুরো প্রধান॥
নাটোরে র্যাবের পরিচয়ে অপহৃত ৩ যুবলীগ কর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ দিনাজপুরের
ঘোড়াঘাটে থেকে সোমবার সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ । নিহতরা হচ্ছেন
নাটোর শহরের কানাইখালী মহল্লার মৃত সোনা মিয়ার পুত্র রেদোয়ান
সাব্বির, একই মহল্লার হাফেজ লুৎফর রহমানের ছেলে কর্মী আব্দুল্লাহ ও কালুর
মোড় এলাকার কালু মিয়ার পুত্র সোহেল উভয় যুবলীগ কর্মী ছিলো ।
এদিকে সাব্বিরের মা রুখসানা বেওয়া বাদি হয়ে রোবারর রাতে ৩ জনের
নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় নাটোর থানায় একটি জিডি করেন। জিডিতে
তিনি জানান ৩ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার তকিয়া
বাজার থেকে র্যাব পরিচয়ে তাদের তুলে রাজশাহীর দিকে নিয়ে যাওয়া হয় ।
তাদের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর পরিবার গুলোতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে
। এদিকে
নিহত সাব্বিরের মা রুখসানা বেওয়া বলেন , র্যাবের পোশাকে সাব্বির সহ
৩জনকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনার সঠিক বিচার
দাবি করেন।
নিহত সাব্বিরের বোন শুরভী জানান, র্যাবের কার্ড দিখেয়ে ২ মাইক্রোতে
আসা ১০/১২ জন তাদের তুলে নিয়ে যায় । তিনি আরো বলেন , তার ভাইসহ
এই ৩ জনের কোন অপরাধ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। এভাবে
কেনো হত্যা করা হলো।
অপরদিকে আব্দুল্লাহ ও সোহেলের পরিবার থেকেও এই ঘটনার বিচার দাবি করা
হয়। সোমবার দুপুরের নিহতদের পরিবারের সদস্য লাশ আনতে দিনাজপুরের
উর্দ্দেশে রওনা হয়েছে।
অপরদিকে সোমবার দুপুরে যুবলীগের পক্ষ থেকে নাটোর প্রেসক্লাবে এক
সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগের ৩ কর্মী হত্যার সঠিক তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
একই সাথে তাদের যারা তুলে নিয়ে গেছে তাদের খুজে বের করে দৃষ্টান্ত
মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ । এসময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য
রাখেন নাটোর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদ রুহুল আমিন বিপ্লব, সদর
থানা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ডাবলু ও পৌর যুবলীগের আহবায়ক
সাইম হোসেন উজ্জলপ্রমুখ ।
এই ঘটনায় র্যাব নাটোর ক্যাম্পের ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার
হোসেন জানান, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন।
এব্যাপারে নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, থানায় জিডির
তদন্ত চলছে। এছাড়া নিহতদের পরিবার থেকে মামলা দেওয়া হলে সেটাও
গ্রহণ করা হবে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।