ঢাকা : প্রতিবছর শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে সরকার ১৮০০ কোটি টাকা উপবৃত্তি দেয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বুধবার সেগুনবাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের শিক্ষার্থীদের মাঝে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ, ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
দারিদ্রের বাধা অতিক্রম করে সবার জন্য সমান শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ উপবৃত্তি দেয়া হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিগ্রি পর্যায়ের ১ কোটি ১৭ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি এবং মেধাবৃত্তি দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ধরে রাখাতেই এ বৃত্তি দেয়া হয়।’
এসময় মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, ‘উপবৃত্তি দেয়ার ফলে ঝরে পড়া অনেক কমেছে। তাই ঝরে পড়া রোধ করতে উপবৃত্তি আরো বাড়ানো দরকার। শিক্ষার্থীর শতভাগ উপস্থিতি করতে চাইলে উপবৃত্তি বাড়ানোর বিকল্প নেই।’
প্রকল্প পরিচালক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শ্যামা প্রসাদ বেপারীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখ্ত, ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে শুধুমাত্র মাধ্যমিকে উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী ৫ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৬ জন। যার মধ্য ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৯৫ জন ছাত্রী, ১ লাখ ৪ হাজার ৬৯১ জন ছাত্র রয়েছে। মোট টাকার পরিমাণ ১৪৫ কোটি ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার।
অনুষ্ঠানে মদনমোহন কলেজ, মুজিব নগর সরকারি কলেজ এবং পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সঙ্গে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স করা হয়। এ আয়োজনে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৬ শিক্ষার্থীকে ২৬ কোটি ৪১ লাখ ৯২ হাজার উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেছে অগ্রণী ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমেটেড।
বাংলামেইল২৪ডটকম/ এফএ/ এস