সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

৬০ ভরি স্বর্ণ লুট, ধামরাইয়ে ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৬
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

ধামরাই প্রতিনিধিঃ

ধামরাইয়ে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রায় ১৫-২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রায় ৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ককটেল বিস্ফোরণে তিন মহিলাসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় ধামরাই বাজারের রাজমনি জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, র‌্যাব-পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভোক্তভোগীরা জানায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ধামরাই বাজারের রাজমনি জুয়েলার্সে প্রথমে দুজন ঢুকে জুয়েলার্সের মালিক দুই ভাই রিপন পাল ও সুমন পালকে আঘাত করে। পরক্ষণেই ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত দোকানে প্রবেশ করে সাজানো স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা চিৎকার করলে আশেপাশের অন্য ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা ১৫-২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। পথচারীরা দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এ সময় অনুভা মিষ্টি ঘরে একটি ককটেল, হাবিবা ফার্মেসীতে দুটি ককটেল, সিদ্দিকী মার্কেটে দ্বিতীয় তলায় পৌর মেয়র গোলাম কবিরের মালিকানাধীন অমি অপটিকসে (চশমার দোকান)  একটি, সড়কের উপর প্রায় ১২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এতে ওই সব দোকানের থাই গ্লাস ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এতে আহত হন হীরা আক্তার, মাকসুদা বেগম ও রানু নামের তিন পথচারী মহিলা, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আমীন স্বপন, অনুভা মিষ্টি ঘরের কর্মচারী আসাদুলসহ প্রায় ১০ জন।

এ বিষয়ে রাজমনি জুয়েলার্সের মালিক সুমন পাল ও তার ভাই রিপন পাল জানান, কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রথমে দুইজন ব্যক্তি দোকানে ঢোকে মারপিট শুরু করার পরেই আরো ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত ঢোকে চাপাতি দিয়ে কোপ দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আনুমানিক ৫৫-৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

প্রত্যক্ষদর্শী হাবিব ফার্মেসীর কর্মচারী শফিকুল ইসলাম জানায়, দুর্বৃত্তদের ধরতে এগিয়ে গেলে তার ফার্মেসীতেও দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া যায়।

অনুভা মিষ্টি দোকানের মালিক প্রান গোপাল ও আছিয়া ফার্মেসীর মালিক আনিছুর রহমান জানান, পর পর ১৫-২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তারা আরো জানান, দুর্বৃত্তদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও চাপাতি ছিল।

এদিকে ব্যবসায়ী ইমরান, লাল মিয়া, হাবিব, আজাহারসহ অনেকেই জানায়, ডাকাতি করে পালানোর সময় বিদ্যুৎ চলে যায় আবার দুই-তিন মিনিট পরেই বিদ্যুৎ চলে আসে। দুর্বৃত্তরা পালানোর সময় বিদুৎ চলে যাওয়া আবার তাৎক্ষণিক আসাটা সন্দেহের উদ্র্যেক সৃষ্টি হয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ রিজাউল হক জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শাহীন, ইমন ও নাইম নামের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা জানায়, তারা সিদ্দিকী মার্কেটের তৃতীয় তলায় জিম করতে গিয়েছিল। এরা তিনজনেই ধামরাই কলেজের ছাত্র বলে তারা জানায়।

তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এমএ মালেক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম, সাভার নবীনগর র‌্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অনুমং চাকমা, সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) নাজমুল হাসান ফিরোজ, ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ও পরিদর্শক এএফএম সায়েদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451