শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

দক্ষিণাঞ্চলের অত্যাধুনিক খাদ্য গুদাম মংলা সাইলো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

s-m-saiful-bagerhat এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস :


দক্ষিণাঞ্চলের বাগেরহাটে ‘মংলা-ঘষিয়াখালী’ নৌ-চ্যানেল পুনঃখনন শেষে এবং দেশের বৃহত্তম খাদ্যগুদাম ‘মংলা সাইলো’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাইলো ও নৌ-চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নবনির্মিত ১১টি ড্রেজার উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধনকালে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন- নৌ সচিব অশোক মাধব রায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়েরর সচিব এ এম বদরুদ্দোজা, বিআইডব্লিউটএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকত আলী বাদশা, বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ কামরুজ্জামান টুকু প্রমুখ।

এর আগে সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের ঈযরষফ ঐবষঢ় খরহব কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, সাইলোটি ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। কীটনাশক ছাড়াই পাঁচ বছর খাদ্যশস্য মজুদ রাখার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয় অত্যধুনিক এ সাইলো। ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সাইলোটি উপকূলীয় ১৯ জেলার খাদ্য নিরাপত্তাও দেবে।

আমাদের   বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবিরের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায় সরেজমিনে ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট ও বৈদেশিক মন্দা চলছিল। সংকট কাটতে না কাটতেই ২০০৯ সালের ২৫ মে মাসে খুলনা ও বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আইলা। এতে ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভবিষ্যতে এমন ঝড় পরবর্তী সংকট মোকাবেলা এবং অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে তখন উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য মজুদের পরিকল্পনা নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে মংলা শহর থেকে  ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণে সমুদ্রের দিকে পশুর নদীর তীরে এ সাইলো নির্মাণ করা হয়। ইতোমধ্যে চল্লিশ মিটার উচ্চতার ৩০টি সাইলো বিন ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য ১২৫ মিটার এক্সেজ ব্রিজের সঙ্গে ২৫০ মিটার দীর্ঘ জেটি টার্মিনাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

জেটি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক স্থাপনাসহ প্রকল্পটি নির্মাণে মোট ব্যায় হয়েছে ৫৭৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৩৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি ২শ’ কোটি জাপানের জেডিসিএফ অর্থায়ন করেছে।

৫০ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক এই কনক্রিট গ্রেইন সাইলোতে যান্ত্রিক উপায়ে খাদ্য খালাসের ব্যবস্থা থাকায় অপচয় এবং খরচ কমবে।

সাইলোর মতো মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটিও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সুন্দরবনের সুরক্ষার জন্য।

মংলা বন্দরের আন্তর্জাতিক নৌ-রুট  মংলা–ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি পুনঃখননের মাধ্যমে চলাচল উপযোগী করতে ব্যয়ে হয়েছে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বিআইডাব্লিউটিএ।

বর্তমানে চ্যানেলেটি দিয়ে পূর্ণ জোয়ারে ১৫ ফিট গভীরতার নৌযান চলাচল করছে এবং সুন্দরবন অভ্যন্তরের শ্যালা নৌ-পথটি বন্ধ রয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451