ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির
সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান মন্ডলের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫
সালের ১৯ অক্টোবর হরিণাকুন্ডু থানার সামনে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে
নিহত হন তিনি।
হত্যার ১১ বছর অতিবাহিত হলেও তার পরিবার আজো বিচার পায়নি। পুলিশ
ঘাতক চক্রকে সনাক্ত করতে না পারায় মামলাটির অপমৃত্যু হয়েছে। নিহত
আজিজুর রহমানের স্ত্রী বুলবুলি রহমান জানান, ২০০৫ সালের ১৯ অক্টোবর
সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে থানার সামনের একটি দোকানে বসে ছিলেন তার
স্বামী। সেখানে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ারে তাকে হত্যা করে
পালিয়ে যায়।
হত্যার পর পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (জনযুদ্ধ) হত্যার দায় স্বীকার করে
বিবৃতি দেয়। এ ঘটনায় তার ভাই ইয়াকুব হোসেন মন্ডল বাদি হয়ে ২০
অক্টোবর হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামীদের নাম উল্লেখ না থাকায় পুলিশ মামলাটি তদন্তের জন্য
সিআইডিতে পাঠায়। সিআইডি দুই বছর তদন্ত করে হত্যার আলামত উদ্ধার
করতে না পেরে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে
নারাজি দেন তার স্ত্রী বুলবুলি। আদালতের নির্দেশে আবারো মামলাটি তদন্ত
করে সিআইডি।
অন্যদিকে মন্ডলের পরিবার এই হত্যাকান্ডের জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী
পরিবারের দিকে অভিযোগের তীর খাড়া করে। আসামী না হয়েও উচ্চ আদালত
থেকে ওই পরিবারের কয়েক সদস্য আগাম জামিন নেন।
এদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা
চেয়ারম্যান এ্যাড. এমএ মজিদ জানান, ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও বিএনপি
নেতা আজিজুর রহমান হত্যা মামলার কোন বিচার হয়নি।
এ জন্য হতাশ হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তিনি সরকারের কাছে প্রকৃত
খুনিদের বিচারের দাবি জানান। এদিকে আজিজুর রহমান মন্ডলের
মৃত্যুবার্ষিকী পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে হরিণাকুন্ডু
উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৭টায় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে
জাতীয়, দলীয় ও কালোপতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, সকাল ১০টায় মরহুমের
নিজ গ্রাম পার্বতীপুরে কবর জিয়ারত, শোক, আলোচনা সভা ও দোয়া
মাহফিল।