ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-ঝালকাঠির নলছিটিতে ছিনতাইকালে জনতার হাতে আটক
১০ছিনতাইকারিকে পুলিশে সোপর্দ করলে ১৮ ঘন্টা থানা হাজতে রাখার পরে দলে
অদৃশ্য কারণে দু’জনকে রেখে বাকিদের ঝালকাঠি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে
অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের
মাদারগোনায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার সবুজ
হাওলাদার বাদী হয়ে আটক ১০জন সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩জনকে আসামী করে
নলছিটি থানায দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা (মামলা নম্বর-১০, তাং-
১০/১০/১৬ইং) দায়ের করেছেন। এরা হলো-তিমিরকাঠি গ্রামের হাসান(২২)পিতা-
মোঃআলী, শাকিল(১৮)পিতা-খলিলুর রহমান, সালমান শাহ(২০) পিতা-কামাল খান,
শাকিল পিতা- মোঃ শুক্কুর, রাকিব হাসান(১৮),পিতা-আলম, উজ্জল(২০) পিতা-কালু
গাজী, বীরনায়ন গ্রামের শাকিল(২০) পিতা আনোয়ার হোসেন,আমিরাবাদ
গ্রামের রিমন(১৭)পিতা-আঃআজিজ, এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার
রূপাতলির আলম খানের পুত্র মিরাজ(১৯) ও সাগরদি ধান গবেষনা রোডের সায়েদ আলীর
পুত্র তারকুল(১৮)। এদের মধ্যে ছিনতাইকালে এলাকবাসি ৪জনকে আটক করে পুলিশে
সোপর্দ করে এবং তাদেও দেয়া তথ্যানুযয়ী আরও ৪জন মোট ৮জনকে গ্রেফতার করা
হয়েছে বলে নলছিটি থানার সেকেন্ড অফিসার গাজী ফজলুর রহমান জানালেও
সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত নলছিটি থানা হাজতে থাকা এদের সাথে আটক হওয়া
তানজিল ও সোহাগ নামের দুই যুবকের কথা চেপে যান তিনি। এ বিষয়ে জানতে
চাইলে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মা মো সুলতান মাহমুদ জানান,
“ছিনতাইয়ের ঘটনায় যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে তাদের কোর্টে চালান
দেয়া হয়েছে। বাকিদের রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করেছে টহল পুলিশ।”
অথচ ছিনতাই মামলায় গ্রেফতারকৃত ৮জন আসামীকে ঝালকাঠি আদালতে
প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। থানার ডিাউট অফিসার এস আই জাকির
হোসেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সোলায়মান মাহমুদ ও সেকেন্ড
অফিসার এস আই গাজী ফজলুর রহমান। এ অবস্থায় রোববার রাত ৮টা থেকে
সোমবার বেলা ২টা পর্যনাত নলছিটি থানা হাজতে থাকা তানজিল ও সোহাগ
নামের দুই যুবক সম্পর্কে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি থানার ওই
কর্মকর্তারা।
মামলার বিবরণ পুলিশ সূত্রমতে, বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অসুস্থ মাকে দেখে বিকেলে একটি অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ির
উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন ঢাকায় চাকুরিরত মাদারগোনা বড়বাড়ির সবুজ হাওলাদার ও তার
ভাই। বাড়ির কাছাকাছি টাকবাজার এলাকায় পৌছলে লক্ষ করেন ৪টি মোটর
সাইকেলে ১০/১২জন যুবক তাদের পিছু নিয়েছে। এর একটু পরেই তাদের বানটি
ঘিে ফেলে ও মোটরসাইকেলগুলো। কয়েকজন নেমে সবুজের ব্যাগে থাকা ১০হাজার
৫’শটাকা পকেটে ২হাজার টাকা এবং তার ভাইয়ের কাছে থাকা ৩২হাজার টাকা
ছিনিয়ে নেয়। এ অবস্থা দেখে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ধাওয়া করে
নলছিটির তিমিরকাঠি গ্রামের হাসান(২২)পিতা-মোঃআলী, শাকিল(১৮)পিতা-
খলিলুর রহমান,সালমান শাহ(২০) পিতা-কামাল খান ও উপজেলার বীরনায়ন গ্রামের
শাকিল(২০) পিতা আনোয়ার হোসেন এই ৪জনকে ধরতে সক্ষম হলেও বাকিরা পালিয়ে
যায়। পরে নলছিটি থানায় খবর দিলে এস আই ফিরোজ ঘটনাস্থলে গেলে
আটককৃতদের তার হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসি।
থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী অভিযান চালিয়ে
নলছিটির দপদপিয়া এবং বরিশালের রূপাতলি ও সাগরদি ৪জনকে আটক করা হয় বলে
জানান, অভিযানে নেতৃত্বদানকারি নলছিটি থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই
গাজী ফজলুর রহমান।