নাটোর থেকেঃ
নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া সহ প্রতিটি এলাকাতে খরিদ-১ মৌসুমের মুগকালই
চাষ করেছিল কৃষকগন । কিন্তু মুগকালই রোপনের পর থেকে প্রচন্ড খরা এবং গাছে ফুল
দেখা দেওয়া শুরুতেই অতিবৃষ্টির কারনে এবছর এই অঞ্চলে চাষ কৃত প্রায় সকল জমির
মুগকালই নষ্ট হয়েছে । যার কারনে এই অঞ্চলের কৃষকের চখে এখন শুধুই হতাশা দেখা
দিচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে, ওয়ালিয়ার মুগকালাই চাষী সিরাজুল ইসলাম,আকছেদ
আলী,গৌতম কুমার কুন্ডু জানায়, চলতি মৌসুমে গমও ভুট্টা চাষের পরে এই অঞ্চলের
প্রায় জমিতে কৃষকগণ খরিদ-১ মৌসুমের মুগকালাইয়ের চাষকরে থাকে এই বছর এই
অঞ্চলের কৃষকগণ মুগকালাই চাষ করেছে প্রচন্ড খরার কারণে প্রায় জমির মুগকালই পুরে
গেছে আবার মুগকালইয়ের ফুল আসার সুময় অতিবৃষ্টির কারনে নিচু জমির মুগকালাই
পচে গেছে এবং উচু ও মাঝারি জমির কালাইয়ের জমিতে প্রচুর পরিমানে ঘাসের দেখা
দিয়েছে এদিকে বেশি বৃষ্টি হওয়ার কারনে কালইয়ের জমিতে ফুল ও ফল নষ্ট হয়ে গেছে
এছাড়া ও দু একটা জমিতে কালাই থাকলেও তুলার জন্য শ্রমিকদের প্রতি কেজি ১০-১৫
টাকা দরে মুগকালাই তুলেনিতে হচ্ছে । আবার কিছু কিছু জমির মুগকালাই তুলে
তিন ভাগ করে দুই ভাগ শ্রমিক এক ভাগ জমির মালিক নিয়ে মুগকালাই তুলেনিতে হচ্ছে
। এদিকে মুগকালাইয়ের বর্তমান বাজার দরকম থাকাই বিপাকে পরেছেন কৃষকগন ।
এদিকে কৃষকগণ মুগকালাই রোপণ থেকে শুরু করে বর্তমানে তুলতে যে পরিমান টাকা
খরচ হয়েছে তার এক অংশও কৃষক ঘরে তুলতে পারেনি। যার দরুন কৃষকগণ জমির
মুগকালাইয়ের গাছ কেটে গবাদিপশুর খাদ্য হিসাবে ব্যাবহার করছে। এব্যাপারে লালপুর
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, চলতি মৌসুমের প্রথমে প্রচন্ড
খরা ও মাঝামাঝি অবস্থায় অতিবৃষ্টির কারনে এই অঞ্চলের কৃষকের চাষকৃত মুগকালাইয়ের
ক্ষতি হয়েছে ।