ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে রেজাউল করিম নামে এক সাংবাদিককে মারপিট করে তার কাছে থাকা ৫৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
আহত সাংবাদিক রেজাউল করিম পীরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক প্রভাত পত্রিকার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
গত (২৪ নভেম্বর)সোমবার সন্ধ্যায় পীরগঞ্জ উপজেলার করনাই হাটপাড়া বাজারে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে তার ফুফাতো ভাই সইদুর রহমান (৫৫)কেও বেধড়ক মারধর করে জখম করা হয়।
বর্তমানে সাংবাদিক রেজাউল করিম ও তার ফুফাতো ভাই সইদুর রহমান গুরতর আহত হয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
সাংবাদিক রেজাউল করিম জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার করনাই বাজারের নিজ অফিস থেকে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বের হন। ওই সময় পূর্ব দিক থেকে ওৎ পেতে থাকা মাহাবুর আলম ও ১১নং বৈরচুনা ইউনিয়নের দক্ষিণ নওপাড়া প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রিয়াজুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন দুর্বৃত্ত পিছন থেকে তার কলার টেনে ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে।
হামলাকারীরা লাঠি, গাছের ডাল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করলে ডান চোখের ওপরে গভীর কাটা সৃষ্টি হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশেও আঘাত পান তিনি।
দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য স্থানীয়রা গাড়িতে তুললে বলাইহাট এলাকায় আবারও হামলার চেষ্টা হয়।
অভিযোগ রয়েছে মাহাবুর আলমের কয়েকজন মামা, মামাতো ভাই দক্ষিণ নওপাড়া এলাকার বেশ কজন ও তাদের ভাড়াটিয়া লোকজন পথরোধ করে আবারও মারধরের চেষ্টা করে। তবে সঙ্গে থাকা লোকজন ৯৯৯ নম্বরে কল করার চেষ্টা করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে আহত দু’জনকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হামলার সময় রেজাউল করিমের মোবাইল ফোন, প্যান্টের পকেটে থাকা ৫৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এছাড়া তার অফিসের বারান্দায় রাখা মোটরসাইকেলটিও দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সেই সাথে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সব দোষ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মাহাবুব আলম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে সে ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। সে কথা বলতে গিয়ে সে আমাদের উপর আগে হামলা করে। আমরাও হাসপাতালে ভর্তি আছি।