মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

হঠাৎ কী হলো যুক্তরাষ্ট্রের, কেন ধ্বংস করছে সব রাসায়নিক অস্ত্র

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে
চুক্তির তিন দশক পর গত শুক্রবার সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত শুক্রবার তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপের ফলে রাসায়নিক অস্ত্রের ভয়াবহতা থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার পথে একধাপ অগ্রসর হলাম আমরা।’

নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন, মজুত ও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি মজুত রাখা অস্ত্রভান্ডার ধ্বংসেরও উল্লেখ ছিল।

ওই সম্মেলনের তত্ত্বাবধায়ক ছিল রাসায়নিক অস্ত্রবিরোধী আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘অরগানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপনস’(ওপিসিডব্লিউ)। যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৯৩টি দেশ ওই আন্তর্জাতিক চুক্তিতে সম্মত হয়। এই চুক্তির তিন দশক পর অবশেষে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, তারা আমেরিকার সবশেষ রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডারটি ধ্বংস করেছেন।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, রকেট থেকে সারিন নামে অতি বিষাক্ত তরল রাসায়নিক নিষ্ক্রিয় করার পর সেটিকে ধ্বংস করা হয়েছে। রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে বিবর্ণ, গন্ধহীন ওই তরল ব্যবহৃত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি।

এ কাজের দায়িত্বে ছিলেন ‘ডিফেন্স ফর থ্রেট রিডাকশন অ্যান্ড আর্মস কন্ট্রোল’-এর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কিংস্টন রাইফ। তিনি বলেন, ‘আমাদের শতভাগ রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।’

নব্বইয়ের দশকের শেষে দেশে মজুত রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার ধ্বংসের অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট। সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ১৯৯৭ সালে সে দেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্বের উচিত আমাদের পথ অনুসরণ করা।’

তবে বাস্তবে উল্টো পথে হেঁটেছে মার্কিন প্রশাসন। বিশ্বজুড়ে নানা সময়েই বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করা হলেও দেখা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরের তিন দশক পর তা কার্যকর করেছে তারা।

এ পদক্ষেপে কেন এত দেরি হলো, এমন প্রশ্নে কপলো জানান, রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার ধ্বংসের কাজ এত সহজ নয়। এ ধরনের অত্যন্ত বিষাক্ত রাসায়নিক বিস্ফোরক ঠেসে পুরে দেওয়া কামান, রকেট অথবা বোমায়। সেগুলোকে বার করার প্রক্রিয়াটি সরল নয়।

তিনি আরও জানান, রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। সেগুলো ধ্বংস করার জন্য এমন স্থান বেছে নিতে হবে, যাতে আশপাশের অঞ্চলের পরিবেশে এর প্রভাব না পড়ে। সে জন্য বিশেষ প্রযুক্তিরও প্রয়োজন।

প্রশাসনে রদবদলেও এ ধরনের অস্ত্র ধ্বংস করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। কপলো বলেন, ‘নেতৃত্বে বারবার বদলের জেরে রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার ধ্বংসের কাজ যে গতিতে করা উচিত ছিল, তা হয়নি। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় অর্থও যথাসময়ে পাওয়া যায়নি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451