জাল টাকা তৈরির চক্রের মূলহোতা মো. হানিফ গাজীকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
শনিবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মো. হানিফ গাজী ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে জানায় র্যাব।
রোববার (১৮ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম।
গ্রেপ্তার মো. হানিফ গাজী বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার মৃত-নুর মোহাম্মদ গাজী ওরফে নুরু গাজীর ছেলে।
তিনি জানান গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হানিফ গাজী জাল টাকা তৈরি চক্রের মূলহোতা। তিনি ২০১৬ সালে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বরগুনা জেলার আমতলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৫(এ) মামলা রুজু করা হয়। উক্ত মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি তিন মাস কারাগারে থাকার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। অন্যদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত মো. হানিফ গাজীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড প্রদানপূর্বক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরোয়ানা জারির পর থেকে আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে মো. হানিফ গাজীকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
তিনি আরও জানান, পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৭ জুন রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. হানিফ গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি জাল টাকা তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এবং সে জানায়, তিনি একজন সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা। সে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কমমূল্যে বিপুল পরিমাণ জাল টাকার নোট সরবরাহ করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য সে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমী ফলের ব্যবসা করত। উক্ত কাজের আড়ালে চক্রের সদস্যদের কাছে জাল টাকার নোট সরবরাহ ও বিক্রি করত।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরগুনা জেলার আমতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।