রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ঈদে ঘরমুখো হাজার মানুষের জরুরি পারাপারের ফেরি দেখলেই উঠে পড়ছে যাত্রী

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ মে, ২০২১
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে লকডাউন উপেক্ষা করে রাজধানী থেকে ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে গত রাত ১২ থেকে দেশে সকল নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। মধ্যে রাতের ফেরি বন্ধের ঘোষণার বিষয়টি না জেনে বাড়ি ফিরছিলেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রী ও চালকরা।

আজ শনিবার সকাল থেকেই প্রতিটি ঘাটে হাজার হাজার যাত্রী পারের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি পরবর্তী নির্দেশনা ছাড়া কোনো ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে না। তবে রোগী ও লাশবাহী গাড়ি পারের জন্য দু-একটি ফেরি মানবিক কারণে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে এসব যাত্রীরা গাদাগাদি করে পারের অপেক্ষা করছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঘাটে পার হতে আসা যাত্রী ও চালকরা।

পাটুরিয়া ঘাটে সকাল থেকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ঘাটের শত শত যাত্রী ফেরি পারের অপেক্ষায় প্লটুনে গাদাগাদি করে অপেক্ষা করছে। দূরপাল্লার যানবাহনসহ আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও ভেঙে ভেঙে যে যার মতো গাড়িতে করে ঘাটে এসে পারের অপেক্ষায় রয়েছেন।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, শক্রবারও সারা দিন ফেরি চলাচল করেছে। গভীর রাতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বিআইডব্লিউটিসি  কর্তৃপক্ষ ফেরি বন্ধ করে দেওযায় আমাদের এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানা থাকলে অবশ্যই আমরা বের হতাম না। ঘাট  কর্তৃপক্ষের দাবি লকডাউনের শুরু থেকেই আমরা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল সীমিত করেছি। শুধু মাত্র জরুরি যানবাহন ছাড়া কিছুই পারাপার করা হচ্ছে না।

ঢাকা থেকে ঝিনাইদহগামী আব্দুল আজিজ নামের এক যাত্রী কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি আমার পরিবার নিয়ে সকালে ঘাটে এসে পারের অপেক্ষায় রয়েছি। ফেরি বন্ধের বিষয়টি জানতাম না। এখন ঘাটে এসে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছি। এভাবে হাজার হাজার লোক ঘাটে পারের অপেক্ষায় থাকলে করোনা সংক্রমণের আশংকা বেশি থাকে।

বিআইডব্লিউটিসর আরিচা কার্যলয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, উপরের নির্দেশনা না পেলে ফেরি চলাচল করা সম্ভব না। তবে লাশ ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। এ সময় হুমড়ি খেয়ে বাধা না মেনে অনেক যাত্রী ফেরিতে উঠে পরছে। অপরদিকে রাতের বেলায় জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে।

শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা বলেন, পাটুরিয়া ঘাটে রাত থেকে যাত্রী ও যানবাহন পারাপর করা হচ্ছে না। তবে মানবিক কারণে গর্ভবতী নারী, রোগী, লাশবাহী গাড়ি পারের জন্য দুটি ফেরি ছাড়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451