শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

এক সময়ের খরস্রোতা নদীটি এখন মরা খাল ফুলবাড়ীর শাখা যমুনা নদীতে রাবারড্যাম নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮
  • ৩২৯ বার পড়া হয়েছে

 

মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা তথা শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরস্রোতা শাখা যমুনা নদীটি দীর্ঘ দিনের সংস্কার না হওয়ায় এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। বছরের অধিকাংশ সময় নদীতে পানি পাওয়া যায় না। নদীর দুই ধারের পাড় ক্রমেই দখল হয়ে যাচ্ছে। একই সাথে নদীর বুক চিরে চাষ হচ্ছে রবি শষ্য। এলাকাবাসীর দাবী নদীতে রাবারড্যাম নির্মাণ করে বর্ষাকালের পানি ধরে রেখে কৃষি কাজে ব্যবহার করার উপযোগী করা ।

নদীতে পানি না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন নদী পারের কয়েক হাজার জেলে পরিবার। তারা এখন বাব-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য কাজা বেছে নিয়েছেন। এতে করে এ অঞ্চলে দেশি মাছের অভাব দেখা দিয়েছে। অপরদিকে কৃষি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ভূগর্ভের পানি। এতে পরিবেশ বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, এই নদীটি রংপুর জেলার তিস্তা নদী থেকে প্রবাহিত হয়ে রংপুর জেলার কয়েকটি থানা হয়ে দিনাজপুর জেলার খানসামা, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর হয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভা সহ তিনটি ইউনিয়ন অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী বিরামপুর, হাকিমপুর উপজেলা হয়ে ভারতের পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু দূর প্রবাহিত হয়ে আবারও বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার পাচবিবি, জয়পুরহাট সদর, বদলগাছী হয়ে নওগাঁ জেলার ধামুরাই, পতœীতলা, সাপাহার হয়ে যমুনা নদীতে সংযুক্ত হয়েছে। এক সময় এই নদীর উপর নির্ভরশীল ছিল নদী পাড়ের কয়েক হাজার জেলে পরিবার। এই নদীর পানি সেচ দিয়ে চলত নদী পাড়ের এলাকার আশপাশের জমির চাষাবাদ।

কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে নদীটি খনন সংস্কার না হওয়ায় পলি ধোয়া নেমে নদীটি ভরাট হয়ে উঠেছে। বর্ষাকাল আসলে নদীতে পানি দেখা গেলেও বর্ষাকাল শেষ হওয়া সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যায় নদীর পানি। যার ফলে নদী এলাকার কৃষিকাজ এখন সেচ পাম্পের উপর নিভরশীল হয়ে পড়েছে। এতে করে দিন দিন ভূ-গর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ভূ-গর্ভের পানি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। তারা পরিবেশ রক্ষার্থে নদীটি সংস্কার করে রাবার ড্যাম নির্মাণ করে বর্ষাকালের পানি নদীতে ধরে রেখে কৃষি কাজে ব্যবহার করার দাবী জানিয়েছে, একই দাবী এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীরা বলেন, নদীটি খনন করে রাবারড্যাম নির্মাণ করে বর্ষাকালের পানি ধরে রাখা হলে শুধু কৃষি কাজেই উপকার হবে না, এখানে দেশি মাছেরও অভাব পূর্ণ হবে। এজন্য তারা নদীটি খনন করে রাবারড্যাম নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451