মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

দেশের নয় জেলায় ১৪ ঘণ্টায় সড়কে প্রাণ গেল ৩৮ জনের

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮
  • ৪৯১ বার পড়া হয়েছে
দেশের নয় জেলায় ১৪ ঘণ্টায় সড়কে প্রাণ গেল ৩৮ জনের

অনলাইন ডেস্কঃ-

দেশের নয় জেলায় গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা থেকে আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩২ জন।

হতাহতদের মধ্যে অনেকেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করে কর্মস্থলে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। দূরপাল্লার বাস বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এই সময়ে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার পলাশতলী উপজেলার মহেশপুরে। এখানে একসঙ্গে ১৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার পাগলাপীরের সালেয়া শাহ বাজারে আরো একটি দুর্ঘটনায় ছয়জন প্রাণ হারিয়েছেন।

এর বাইরে ঢাকার সাভার উপজেলায় চারজন, গোপালগঞ্জে তিনজন, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা, নাটোর সদর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলায় দুজন করে এবং চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় একজন নিহত হয়েছে।

কৃষ্ণ কুমার চাকী, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৩৩ জন। আজ শনিবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার মহেশপুর এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

এ ঘটনায় হতাহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে আহতরা জানিয়েছেন, বাস যাত্রীদের অধিকাংশই নীলফামারী, কুষ্টিয়া ও ঠাকুরগাঁও জেলার যাত্রী ছিলেন।

নিহতদের মধ্যে ১৫ জনই পুরুষ, একজন নারী। আহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ ছাড়া শিশুরাও রয়েছে।

ওসি মাহমুদুল হাসান সকালে জানান, আলম এন্টারপ্রাইজের একটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথে ভোরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাসটি কেন নিয়ন্ত্রণ হারাল, তা এখনি বলা যাচ্ছে না।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লোকজন এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত অনেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে জানান পলাশবাড়ী থানার ওসি।

এ কে এম মঈনুল হক, রংপুর : রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার পাগলাপীরে বিআরটিসির দোতলা বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার পাগলাপীরের সলেয়া শাহ বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল বাকি আজ শনিবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দোতলা বাসটি যাত্রী নিয়ে দিনাজপুর থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পাগলাপীরের সলেয়া শাহ এলাকায় বাসটির চাকা পাংচার হয়ে যায়।

তখন যাত্রীদের অনেকে গরমের কারণে বাস থেকে নেমে রাস্তার ওপর বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় একই দিক থেকে আসা একটি বালুবোঝাই ট্রাক বাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় বসা ছয় বাসযাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হতাহতরা  সবাই দিনাজপুরের।

ওসি আরো জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন নিশাত ও সাজ্জাদ।

জাহিদুর রহমান : সাভারের আমিনবাজারের তুরাগ এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২০ জন। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন জানান, দ্রুতি পরিবহনের বাসটি রংপুর থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। আমিনবাজারের তুরাগ এলাকায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসটিকে একটি ট্রাক পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে ২৩ জনকে উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানকার চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এসআই।

হালিম খান, নাটোর : নাটোর সদর উপজেলায় ইজিবাইক ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে নাটোর শহরের আলাইপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন সুলতা রানী দেবনাথ ও কানাই লাল দেবনাথ। তাঁদের বাড়ি নলডাঙ্গা উপজেলার সোনাপাতিল গ্রামে।

নাটোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মহিউদ্দিন আহমদ এবং নাটোর সদর থানার এসআই রুবেল জানান, ইজিবাইকটি স্টেশন এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে মিশন হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিল। শহরের আলাইপুরে বালুবাহী একটি ট্রাক পেছন থেকে ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী নিহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন নিহত সুলতা দেবনাথের স্বামী মঙ্গল দেবনাথ, তাদের কন্যা আঁখি দেবনাথ এবং ইজিবাইকচালক আবুল কালাম।

পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে বলে জানায় পুলিশ।

এ বি এম ফজলুর রহমান, পাবনা : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক ও তাঁর সহকারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২০ বাসযাত্রী। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ভুইয়াগাতী এলাকায় বগুড়া-নগরবাড়ী সড়কে  এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন রায়গঞ্জ উপজেলার শ্যামনাই গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে ট্রাকচালক শরিফ ফকির (৩৫) ও একই গ্রামের ধুকু মিয়ার ছেলে চালকের সহকারী রফিকুল ইসলাম (৩০)।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর কাদির জিলানী জানান, আর কে পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি বগুড়া থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। ভুইয়াগাঁতী এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালক ও তাঁর সহকারী নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া বাজারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক ধানকল মালিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে।

নিহত ধানকল মালিক ওবায়দুর রহমান (৪৫) আলোকদিয়া চকপাড়ার মরহুম ইরফান আলীর ছেলে। আহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মহসিন (৩৫) ও একই উপজেলার ছুটিপুর গ্রামের হাফিজুল বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ রানা (৩৬)। তাঁরা খালাতো ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ধানকল মালিক ওবায়দুর চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়ক ধরে হেঁটে আলোকদিয়া বিশ্বাস তেল পাম্পের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরগামী একটি মোটরসাইকেল ওবায়দুরকে খুব জোরে ধাক্কা দেয়। এতে পাকা রাস্তার ওপর পড়ে গিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে যায়, বাম পা ভেঙে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকির হোসেন বলেন, আহতদের অবস্থা ভালো না হওয়ায় তাদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ দুর্ঘটনার বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

মাহবুব হোসেন সারমাত, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বাসচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরো ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ঘোনাপাড়ায় গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বেসরকারি সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের কর্মচারী ইমরান হোসেন (৩৮) ও মাঠ কর্মকর্তা পুলক ব্যাপারী (৩৪)।

মারাত্মক আহত রিক গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক রুবেল ফকিরসহ (৩৫) ১০ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতদের সবার বাড়ি পিরোজপুরে।

রিক গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটি শেষে তিনজন পিরোজপুর থেকে কর্মস্থল গোপালগঞ্জ আসছিলেন।

সদর থানার এসআই শওকত হোসেন জানান, বাসটি বাগেরহাট থেকে গোপালগঞ্জ আসছিল। পথে মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।

পরে ওই বাসটি বেপরোয়া গতিতে ওই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ভ্যান ও একটি লোকাল বাসকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সেটি সড়কের আইল্যান্ডে উঠে যায়। এতে বাস ও ভ্যানের ১০ যাত্রী আহত হন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা এসে সড়ক থেকে বাস দুটি অপসারণ করেন।

এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাটে বাসের চাপায় ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ বাসযাত্রী আহত হয়েছেন। আহত ছয়জনকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ভ্যানচালকের নাম লোকমান শেখ (৫০)। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের ইসমাইল শেখের ছেলে।

মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা জানিয়েছেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হামীম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস দাসেরহাটে  বনফুল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক লোকমান মারা যান। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের ১০ যাত্রী আহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

আবুল কালাম আজাদ, লক্ষ্মীপুর : লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলায় মালবাহী পিকআপ ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় চারজন আহত হন। আজ ভোরে রামগতি-সোনাপুর সড়কের শেখের কিল্লা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন রামগতির চরআফজল গ্রামের গোফরান মিয়ার ছেলে মো. মিলন (৫০) ও একই এলাকার শাকেরা খাতুন (৭০)। আহত ব্যক্তিরা হলেন  সুরাইয়া বেগম, রিনা বেগম, ফখেরা বেগম ও মো. রিদন। তাঁদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রামগতি উপজেলার চরআফজল গ্রাম থেকে প্রসূতি রোগী নিয়ে অটোরিকশা করে নোয়াখালী হাসপাতালে যাচ্ছিল স্বজনরা। রামগতি-সোনাপুর সড়কের শেখের কিল্লা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির মালবাহী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন নিহত ও চারজন আহত হন।

রামগতি থানার ওসি এ টি এম আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের লাশ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বরিশাল থেকে বগুড়াগামী তুহিন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২০ জন।

নিহতের মধ্যে বাসের চালক নাটোরের ইব্রাহিম (৪০) ও অপরজন চালকের সহকারী একই এলাকার হাবিব (৩২) বলে জানা গেছে।

আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই সেনা সদস্যসহ নয়জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার  দিকে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী তুহিন পরিবহনের বাসটি ভাঙ্গার পূর্ব সদরদী নামক স্থানে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে পৌঁছলে বাসটির সামনের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থলেই  দুজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মাহফুজার রহমান জানান, সকালে যাত্রীবাহী বাসটি দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছলে এর সামনের চাকা ফেটে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্খানীয়দের সহায়তায় হতাহতের উদ্বার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বাকিদের অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো  হয়।

এ ঘটনায় আহত ২০ জনের মধ্যে ১৭ জনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন জহিরুল ইসলাম (৫০), নুরুল ইসলাম (৫৫), রফিকুল ইসলাম (৩২), সোবাহান শরীফ (৪৫), ফোয়াদ (৪৮), শিউলি (৩৮), সুমী রায় (১০), তমা (২০), সেনাসদস্য ছোটন (২৫) ও মনির (৩০), নিত্যরানী (৫০), রেজেফ (৩৫), মালী কীর্তনীয়া (২৫), আদুশীল (৫০), বনানী (৩৪), অভিজিৎ অধিকারী (২২) ও নূর জামাল (২৬)।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451