ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের এম কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির বিরুদ্ধে
ভোটার তালিকায় ভুয়া ভোটার করার অভিযোগ করেছে ম্যানিজিং কমিটির
বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ উপজেলা নির্বাচন অফিসারের নিকট। গত ০৩/০৮/২০১৬
তারিখে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের নিকট অভিযোগে এম কে
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাক সদস্য মোসারফ হোসেন জানান, আমি
অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করি কিন্তু বিভিন্ন জেলা ও
গ্রামের ঠিকানা দেখিয়ে ভুয়া ভোটার তৈরি করা হয়েছে, যাদের ছেলে
মেয়ে আদও এই স্কুলে লেখাপড়া করে নি।
উক্ত ভোটারের নাম অভিবাবক তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
সাথে তিনি স্কুলের ভোটার তালিকার ১৪১ থেকে ১৬০ ও ২২১ থেকে ২৪০
পর্যন্ত ৪০ জন ভোটার তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেকে ভুয়া ভোটার
হিসাবে উল্লেখ করেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার আগামী ১৬ আগস্ট ঝিনাইদহ সদর উপজেলার
মহারাজপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা নামক স্থানের এম কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
ম্যানিজিং কমিটির নির্বাচন সম্পর্কে এম কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
ম্যানিজিং ঝিনাইদহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ সিদ্দিক
আহাম্মেদ ও মহারাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন খানের
সাংবাদিক দের নিকট অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঝিনাইদহ
জেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেসি কলেজ
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর ইসলাম সলোক এবং ঝিনাইদহ সদর
উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়ের সহ সভাপতি মইনউদ্দিন ও সহ সাধারণ সম্পাদক
মোসারফ হোসেন।
তারা বলেন যে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ সিদ্দিক আহাম্মেদ ও মহারাজপুর
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন খান সাংবাদিকদের নিকট যে
অভিযোগ করেছে তাঁহা মিথ্যা, বরং গত স্কুল কমিটির নির্বাচনে তিনি
এলাকার মানুষের ভঁয়ভৃতি দেখিয়ে সব গুলি মনোনয়ন পত্র ক্লোজ করে একক
ভাবে তার পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন।
এবার সেটা সম্ভব নয় জেনে এবং তার পরাজয় নিশ্চিত হয়ে তিনি অসত্য
কথা সাংবাদিকদের বলে বেড়াচ্ছে। এখন তার সাথে প্রকৃত আওয়ামীলীগের
কেউ নাই তিনি বি এন পির কর্মীদের নিয়ে নির্বাচন করছে। তাই পাশ
করার জন্য ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করেছেন।
ইতিমধ্যে সন্ধান পাওয়া গেছে সেই আশিকুর রহমানের, তার সাথে কথা বললে
তিনি জানান যে আমাকে কেউ জোর করে উঠায়ে নিয়ে যায়নি।আমি
কৃষি কাজ করি স্কুল কমিটির নির্বাচনের কাজে গেলে আমার কৃষি
কাজের ক্ষতি হবে। ২ দিনে আমার বেশ কাজের ক্ষতি হয়েছে। বিষয় টা বুঝতে
পেরে আমি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছি। আমার জোর করে উঠেয়ে নিয়ে
যাওয়ার কথাটা সত্য নয়।