জাহিদুল ইসলাম মেহেদী,বরগুনা ॥
মৎস্য সংরক্ষনে সরকারী অবরোধে বরগুনার আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের প্রায় ২৭
জন জেলেকে তাদের প্রাপ্য চাল দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ২৭ ফেব্রুয়ারী আরপাঙ্গাশিয়া
ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের মাঝে চাল বিতরনে এসকল ভূক্তভোগী জেলেদের বৈধ জেলে কার্ড থাকা
সত্বেও তাদের চাল দেয়নি বলে অভিযোগ করেন একাধীক ভূক্তভোগী জেলে।
সাগর ও নদীতে মা ইলিশ, জাটকা ও বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য রেনু পোনা সংরক্ষনে জেলেদের মৎস্য
শিকারে সরকারীভাবে অবরোধ দেয়া হয়। এই অবরোধে গরীব জেলেরা সরকারের আইনের প্রতি
শ্রদ্ধা রেখে মৎস্য শিকার থেকে বিরত থাকেন। তাই এসময় সকল জেলে পরিবারগুলোকে সরকার মাসে
৪০ কেজি করে ৪ মাসে ১৬০ কেজি চাল প্রতি জেলের নামে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। অথচ এই বরাদ্দকৃত
চাল আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম নুরুল হক তালুকদার ও তার দোসররা প্রায় ২৭
জন জেলের বৈধ কার্ড থাকা সত্বেও তাদেরকে চাল দেয়নি। জেলেদের অভিযোগ তারা কার্ড নিয়ে
চালের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তাদের সাথে খারাপ আচরন করে চাল নাদিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
যারা আদৌ জেলে নয়, তাদের নামে জেলে কার্ড দেয়া হয়েছে এবং চাল দেয়া হয়েছে সচ্ছল
পরিবারকে, অভিযোগ করেন জেলে মিজানুর সিকদার, সোহেল শরীফ, আবদুর রব শরীফ, মোঃ হারুন,
ছোবাহান মাতুব্বর, আনোয়ার হোসেন, জাফর। তারা বলেন, সরকারের আইন মেনে আমরা
অবরোধে নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকি। কিন্তু সরকার থেকে এই অবরোধে আমাদের
জেলেদেরকে যে চাল বরাদ্দ দিয়েছে তা যদি আমরা না পাই তাহলে কিভাবে আমরা আমাদের পরিবার
পরিজন নিয়ে বাঁচবো ? এই অনিয়মের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এই
ভূক্তভোগী গরীব জেলেরা।
জেলেরা চাল পায়নি এ সত্যতা নিশ্চিত করে আরপাঙ্গাশিয়া ইউপি সদস্য মোঃ ফোরকান জানান,
মাষ্টাররুলে নাম থাকা সত্বেও অনেক জেলেদের চাল দেয়া হয়নি। চাল পায়নি এমন অনেক জেলে
আমার ওয়ার্ডেই আছে।
জেলেদের সকল অভিযোগ অস্বিকার করে আরপাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক তালুকদার
বলেন, সকল জেলেদেরকে চাল দেয়া হচ্ছে পর্যায়ক্রমে।
প্রকৃত জেলেদের মাঝে চাল বিতরনে অনিয়মের ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৎস
কর্মকতাকে অবহিত করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন বরগুনার জেলা
প্রশাসক মোঃ মোখলেছুর রহমান।
মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষনে সরকারী অবরোধে জেলেদের মাঝে সরকার থেকে যে চাল বরাদ্দ দেয়া
হয় তা যেনো প্রকৃত জেলেরা পায় এ প্রত্যাশা ভুক্তভোগী জেলেদের।