আরিফুল ইসলাম আরিফ,ভালুকা:- ভালুকা পজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে এ বছর চাষিরা সরিষা আবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন স্থানিয় কৃষিজীবি মানুষেরা। ভালুকায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামের মাঠ জুরে আবার গন্ধভরা হলদে ফুলে মধুপোকা মৌমাছির গুঞ্জনে মূখরিত চারিদিক যেন কৃষানের আঙ্গিনার পাশে সবুজের উপর হলুদ চাদরের নির্মল বিছানা। এক সময় গ্রামের আনাচে কানাচে সরিষার আবাদ হতো মাঝখানে যা হারিয়ে যেতে বসেছিল। সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতার কৃষকরা নতুন করে সরিষা আবাদ উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। জানা য়ায় ব্লকে রাজস্ব সহায়তা ও উদ্বুদ্ধ করনের মাধ্যমে ৩০ বিঘা জমিতে বারি ৯ ও ১৪ জাতের সরিষা আবাদ হয়েছে। কৃষকরা সরিষা আবাদে যে ভাবে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন তাতে আগামীতে আশার আলো দেখবেন তারা মনে করছেন। সরিষা উত্তোলনের পর যাতে ওই জমিতে বোর আবাদ করতে পারেন সেজন্য বিনা ১৪ ব্রাউশ করার প্রস্তুতি চলছে। পূর্ব থেকেই বিনা ১৪ কৃষক পর্যায়ে বীজ মজুদ রাখার পরামর্শ দেন স্থানিয় উপজেলা কৃষি অফিস। এ বছর বারি ৯ ও ১৪ জাতের সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছেন। প্রতি বিঘায় ৪ থেকে ৫ মণ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অধিকাংশ গ্রামের চাষী জানান সরিষার আবাদ তারা এক রকম ভুলেই গিয়েছিলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে রাজস্ব সহায়তা নিয়ে আবার নতুন করে সরিষার আবাদ শুরু করেছেন। এক কৃষক জানান, এ বছর তিনি তিন বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন ফলন ভাল পাবেন বলে আশা করছেন। সরিষা আবাদে জমির স্বাস্থ্য ও নিবিরতা বৃদ্ধি করে। সরিষা আবাদ করলে তৈল, খৈল ও জ্বালানী বিক্রি করে কৃষক লাভবান হয়ে থাকে।এ বছর উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হলেও অর্জিত হয়েছে ৬৫ হেক্টর। কৃষি বিভাগ রাজস্ব হতে ২৮০ কেজি বীজ কৃষকের মাঝে সরবরাহ করেছে।