আরিফুল ইসলাম আরিফ ভালুকা,প্রতিনিধিঃ ভালুকা হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াগাঁও এর সিড়িরচালা গ্রামে ভাইরা ভাইয়ের হাতে মারধর ঘটনায় আহত ব্যক্তি ১৪ দিন পর চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেলে তরিগড়ি করে দাফনের ব্যবস্থা করার সময় খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাড়াগাঁও সিরিরিচালা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত আয়াত আলীর ছেলে আবুল হোসেনকে (৪০) ২২ ডিসেম্বর তারই ভাইরাভাই পাশের আউলাতলী গ্রামের কাছুম আলীর ছেলে মো: ফিরোজ মিয়া উপজেলার পাড়াগাঁও গাঙ্গাটিয়া বাজারে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে ফিরোজ তার ছোট ভাইরা ভাই আবুল হোসেনকে ব্যাপক মারধর করে তিনটি দাঁত ফেলে দেয় এবং বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। ১৩ দিন বাড়িতে রেখেইে আবুল হোসেনকে চিকিৎসা দেয়ার পর শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। এলাকার লোকজন জানান, ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয়, সেজন্য স্থানীয় মেম্বার ইসলাইল হোসেনের মধ্যস্থতায় ঘটনারদিন সন্ধ্যায় তরিগড়ি তরে দাফনের ব্যবস্থা করা হলে পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে খাদিজা আক্তার বাদি হয়ে অভিযুক্ত মো: ফিরোজ মিয়া, তাছলিমা বেগম ও বাদল মিয়াকে আসামী করে ভালুকা মডেল থানায় হত্যা মামলা (১৪/৩৫, দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার মডেল থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের অনেক চিহৃ রয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর স্পষ্ট জানা যাবে খুনের আসল রহস্য। ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মামুন অর রশিদ কে জানান,যথেষ্ট স্বাক্ষী প্রমাণ থাকায় অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে নেয়া হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।