গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার
রঘুনাথপুর দক্ষিন পাড়ায় ষাট বছরের মহিলা নির্মলা সুন্দরী
মাঁচা পদ্ধতিতে পুঁইশাক চাষ করে লাখ লাখ টাকার মালিক
হয়েছে। তিনি এখন অন্যান্য চাষীদের কাছে মডেল
হয়েছেন। তার দেখা দেখি অন্যরাও এগিয়ে আসছেন মাঁচা
পদ্ধতিতে পুঁইশাক চাষে।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্মলা সুন্দরীর সাথে কথা হয় সবজি
ক্ষেতে বসে এ সময় তিনি জানান, তিন মাস আগে দশ
কাঠা জমিতে মাঁচা পদ্ধতিতে পুঁইশাক চাষ করি। এক
মাসের মাথায় সবজি তুলে বাজারে বিক্রি করতে থাকি।
দুই তিন দিন পর পরই পুঁইশাক কাটা লাগে। এ বছর
পুঁইশাকের দাম ছিলো অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি।
পাইকাড়রাও সবজি ক্ষেতে এসে পুঁইশাক কিনে নিয়ে
যায়। এ পর্যন্ত প্রায় দশকাঠা জমি থেকে প্রায় তিন লক্ষ
টাকা আয় করেছি। আমার দেখা দেখি এখন এলাকার
অনেকেই মাঁচা পদ্ধতিতে পুঁইশাক চাষ করে লাভবান হচ্ছে।
স¦ামী, পুত্র, কন্যাদের নিয়ে শাঁক কাঁটা, আঁটি বাঁধা ও
বাজারে বিক্রি করা সব কাজই আমরা আনন্দের সাথে মিলে
মিশে করি।
সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা, টুিঙ্গপাড়া উপজেলার
গুয়াধানা, রুপাহাটি, গোপালপুর, সত্তর কান্দা,
জোয়ারিয়া, পাথরঘাটা, বন্যাবাড়ী, রাখিলা বাড়ি ও মৃত্তি
ডাঙ্গা থেকে শত শত মন পুঁইশাক পাইকাররা নসিমন,
ইজিবাইক, লেগুনা ও ভ্যান যোগে গোপালগঞ্জ শহরের বাজারে
নিয়ে আসে। এছাড়াও এ পুঁইশাক গোপালগঞ্জ জেলার
চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ দেশের আরো
অনেক জেলায় মানুষের মাঝে চাহিদা মিটাচ্ছে।
গোপালগঞ্জের রঘুনাথপুরের সবজি চাষী বিধান বিশ্বাস,
রমানাথ গাঙ্গুলি, দিলীপ বিশ্বাস, তপন বালা ও দয়াল বালা
জানান পুঁইশাক চাষ করে এবার অনেকেই লাখ লাখ টাকার
মুখ দেখেছে। এবার থেকে পুঁইশাক চাষের প্রতি
আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা। আগামী বছর থেকে এলাকায় এ
সবজি চাষে প্রাধান্য পাবে বলে তারা জানান।
ডাক্তার অমৃত লাল বিশ্বাস বলেন, পুঁইশাকে প্রচুর পরিমান
পুষ্টিগুন রয়েছে। যা থেকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ায়। এ জন্য প্রত্যেকেরই পুঁইশাক খাওয়া উচিত।