নাজিম উদ্দিন, জেলা প্রতিনিধিঃ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর
উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ডের দেশের মৎস্য
শিল্পের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার জন্য ৪টি বিশাল পুকুর
খনন করে প্রথমে চৌদ্দলক্ষ মাছের পোনা দিয়ে মৎস্য চাষ শুরু
করেন। যার সত্ত্বাধিকারী ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের শিরির চালা
গ্রামের জাবেদ সুলতানা। প্রোপাইটর জনাব মোঃ কফিল
উদ্দিন (বি.এস.সি)। তিনি প্রাচীন তরুনের খালটি ০৯ (নয়)
লক্ষ টাকা খরচ করে ২০ফুট থেকে ৩০ ফুটে সম্প্রসারণ করে
বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করেন। যাতে করে পুকুরের পানি
শুকিয়ে গেলে পুকুরের পানি সরবরাহ করা যায়। এবং আশে
পাশে অনাবাদী জমি সেচের মাধ্যমে ফসল ফলানো যায়। মৎস্য
খামারের দক্ষিণ এবং পূর্ব পার্শ্বের অধিকাংশ জমি খামারীর
ক্রয়কৃত সম্পদ। তিনি নিজে একটি কাঠের সাকু তৈরি করে
দেন যাতে করে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের যাতায়তের কোন
অসুবিধা না হয়। এমনকি আশেপাশের জমিতে যেন পানি
জমে না থাকে তার জন্য ড্রেন করে দেন। আমি ও আমরা
সরজমিনে গিয়ে দেখলাম যে খামারের উত্তরে ও দক্ষিণে তরুনের
খালের শুধু চিহ্ন আছে। ইতিপূর্বেই খালের দুপাশের মাটি
ভেঙে খালটি বিলীন হওয়ার পাথে। খামারীর প্রোপাইটর জনাব
কফিল উদ্দিন (বি.এস.সি) বলেন তিনি ভবিষ্যতে এখানে
একটি দুগ্ধ গাভীর খামার করারও পরিকল্পনা রয়েছে। জন-মানবহীন
শূন্য এলাকায় তিনির যে উদ্দ্যোগ নিয়েছেন তাকে সাধুবাদ
জানানো দরকার। খামারের আশেপাশে এক থেকে দেড়
কিলোমিটারের মধ্যে কোন বাড়ি ঘর নেই। তবুও এই
দুঃসাহসিক কাজে অর্থ যোগান দিয়ে যাচ্ছেন যাতে করে
এলাকার কিছু হলেও কর্মসংস্থান দূর হয়। এই বিষয়ে কফিল
উদ্দিন (বি.এস.সি) সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন
খালের দুই পাশে আমার নিজের জায়গা রয়েছে। খালের দুই পাশে
আমি কিছুই করতে পারি নাই। বিগত আট-দশ বছর অনেক
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এলাকার দুই একজন সাধারণ লোককে
জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান খালের দুই পার্শ্বের মাটি ভেঙে
ভরাট হয়ে যাওয়াই বৃষ্টির পানি খামারের জমির উপর দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে। খামারীর প্রোপাইটর এর দাবী খামারের
প্রতি প্রশাসন সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সু-দৃষ্টি
দেওয়ার আহ্বান জানান।