সোহাগ হাফিজ , বরগুনা : বৈশাখ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত সাহিত্য ম্যাগাজিনে একটি লেখাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে
আমতলীতে। গল্পের প্রতীকি অর্থে ব্যবহৃত একটি বিদ্যালয়ের নামকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। গল্পে উল্লেখ করা
হয়, বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তানিশা বিদ্যালয়ের বাথরুমে গেলে ঐ ছাত্রীর কয়েকজন বান্ধবী মজা করে বাথরুমের
দরজা বন্ধ করে চলে যায়। বিষয়টি কেউই খেয়াল না করায় একসময় বিদ্যালয় বন্ধ করে চলে যায় সবাই। ঘটনাক্রমে চারদিন
পরে বিদ্যালয় খোলার পরে মেয়েটির পরিত্যক্ত লাশ বাথরুমের ভিতরে পাওয়া যায়।
মূলত কাল্পনিক চরিত্রকে কেন্দ্র করে গল্পটি রচিত হলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী সহ পরিচালনা পর্ষদের সবাই
এটিকে সত্যি ঘটনা মনে করায় ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়।
সাহিত্য ম্যাগাজিন সূর্যের আলো সম্পাদক মেহেদী হাসান জানায়, আমরা পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি।
কাল্পনিক একটি ঘটনাকে উক্ত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সত্যি ভেবে বিভ্রান্ত হয়েছে। তারপরও পুরো বিষয়টির জন্য আমরা
সম্পাদনা পরিষদ দুঃখ প্রকাশ করছি। পরবর্তীতে আমরা এসব ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকবো।
এদিকে গল্পে প্রকাশিত আমতলী একে পাইলট মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বজলুর
রহমান বলেন, ম্যাগাজিনে প্রকাশিত তানিশা নামে ৮ম শ্রেণীতে আমাদের কোন ছাত্রী নেই। একটি মিথ্যা
কাহিনী তৈরি করে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আরো জানান,
ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে পত্রিকার সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক ও প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
করবো। এদিকে মামলার বিষয়ে সাময়িকীর সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, নিছক একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে এটা আমরা ভাবতেও পারছি না। পুরো ঘটনার জন্য আমরা ইতোমধ্যে
দুঃখ প্রকাশ করছি। তারপরও যদি কর্তৃপক্ষ অনাকাক্সিক্ষত একটি বিষয়ের জন্য মামলা দায়ের করে তাহলে আমরাও আদালতের
সামনে ঘটনার পুরো ব্যাখা দেয়া ছাড়া বিকল্প কিছু দেখছি না।
আমতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা
দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।