গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলার
২০টি কুমারপাড়ায় বর্তমানে বর্ষবরণে চলছে ব্যস্ততা।
কুমারপাড়ার ঘরে ঘরে মাটির খেলনায় তুলির শেষ আঁচড়ের
কাজে গৃহবধূ থেকে শুরু করে সবাই দারুণ ব্যস্ত সময়
কাটাচ্ছেন। দু-একদিনের মধ্যে তাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
জেলার শতাধিক চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলায় তারা এ
সব খেলনা বিক্রি করবেন। বিক্রির টাকা দিয়ে উৎসবের
আমেজে কুমারপাড়ার ঘরে ঘরে বাংলা নববর্ষ বরণ করে নেওয়া
হবে।
এ সব পাড়ায় দুই মাস আগে থেকেই পুতুল তৈরির কাজ
শুরু করা হয়েছে। বিল থেকে মাটি এনে মাখানো হয়। এ
মাটি দিয়ে ঘোড়া, হাতি, পুতুল, মোরগ, মুরগি, কড়াই,
হাঁড়িসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা তৈরি করা হয়। সে গুলো
রোদে শুকিয়ে পোড়ানো হয়। তারপর বাহারি রঙ দিয়ে বিক্রির
জন্য মেলায় আনা হয়। বৈশাখী মেলায়ই সবচেয়ে বেশি
মাটির খেলনা বিক্রি হয়। প্লাস্টিকের খেলনার সঙ্গে মাটির
খেলনা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। মৃৎশিল্পে
সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নেই। মাটির খেলনা তৈরির সঙ্গে
জড়িতরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।
কোটালীপাড়া উপজেলার হিরন গ্রামের দিলীপ পাল, দিপালী
পাল, উত্তম পাল, গৃহবধূ পলি পাল বলেন, বৈশাখী মেলাকে
কেন্দ্র করেই আমাদের মাটির খেলনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
দুই মাস আগে থেকে আমরা খেলনা তৈরির কাজ শুরু করি।
এখন রঙের কাজ চলছে। বাড়ির সবাই মিলে কাজ করে ব্যস্ত
সময় কাটাচ্ছি। দুই দিনের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে
যাবে। তারপর আমরা উৎসবের আমেজে নতুন বছরকে বরণ করে
নেব।
হিরন গ্রামের নিরঞ্জন পাল, বৈদ্যনাথ পাল বলেন, প্লাস্টিকের
খেলনার সঙ্গে আমাদের মাটির খেলনা প্রতিযোগিতায়
টিকতে পারছে না। মাটির খেলনা তৈরিতে প্রচুর পরিশ্রম
হয়। কিন্তু সে অনুযায়ী আমাদের আয় হয় না তাই সরকারকে
এগিয়ে আসতে হবে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বলে মনে করেন
তারা।