ভোলা প্রতিনিধি:
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, যে সকরকার
মানুষকে পুড়িয়ে মারে আমার সে রকম সরকার চাই না। যে সরকার
জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করে আমার সে রকম সরকার গঠন করতে
চাই। আওয়ামীলীগ সরকারের বিপক্ষে গিয়ে নয়, সরকারের পক্ষ থেকে
আগামী নির্বাচনে ২৫ থেকে ৩০ টি ইসলামী দল নিয়ে ঐক্য গড়ে তুলে
সরকার গঠন করতে চাই। আগামীতেও আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি
জোটে থেকে সরকার গঠন করা হবে। বিগত নির্বাচনে শেখ হাসিনার
বড় ভাই হিসেবে আওয়ামীলীগের ৯ টি জনসভায় বক্তব্য রেখেছি। আগামী
নির্বাচনে ও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার(৭এপ্রিল) দুপুরে ভোলা
জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলনে বাংলা স্কুল মাঠে প্রধান
অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
এরশাদ আরো বলেন, আওয়ামীলীগ অনেক শক্তিশালী দল। আমরাও একসময়
ছিলাম, আবারও জাতীয় পার্টিকে দেশের অন্যতম দল হিসেবে শক্তিশালী
করবো। মৃত্যুর আগে যেন আমি দেখে যেতে পারি এই দেশে আবার
জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এসেছে। সারা বাংলায় শেখ হাসিনার সরকার
উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। ১৯৮৩ সনে ভোলায় এসেছি। দীর্ঘ
৩৪ বছর পর ভোলায় এসে আমি হতবাক হয়ে গেছি। দ্বীপ জেলা ভোলায়
উন্নয়নের যে জোয়ার আমি শুরু করেছিলাম, আজ তোফায়েল আহম্মেদ
ঐশরিক যাদুতে তার পূর্ণতা পেয়েছে। এরশাদ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল
আহাম্মেদের আরো প্রশংসা করে বলেন, ভোলার পবিত্র মাটিতে জন্ম
নিয়ে তোফায়েল আহম্মেদ ভোলার মানুষকে ধন্য করেছেন। এই নেতার
কাছ থেকে আমাদের এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি হলেন
ভোলার অভিবাবক। তার সহযোগীতা ও আতিতেয়তায় আমি মুগ্ধ হয়েছি।
এরশাদ তার ৯ বছরের ক্ষমতার আমলে ভোলার উন্নয়নের ফিরিস্তি টেনে
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি
বলেন, ভোলার কিছু নেতা পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহম্মদের সাথে বেঈমানী
করলেও ভোলার জনগণ যে এরশাদের সাথে বেঈমানী করেনি, তার প্রমাণ
আজকের জনসভা।
ভোলা জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কেফায়েত ইল্লাহ নজিবের
সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ
আবু হোসেন বাবলা এমপি, মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সাইদুর রহমান
টেপা এমপি, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবু সুনিল শুভ
রায়, যুব বিষয়ক উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূয়া, যুগ্ম
মহসচিব নুরুল ইসলাম ওমর, ভোলার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন
টুলু, মহসীনুল হক হাবু, সচিব আজিম গোলদার। সম্মেলনে আমন্ত্রীত
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলার পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান
মনির, মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ ও ডেপুটি কমান্ডার
শফিকুল ইসলাম। আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জহিুরুল ইসলাম নকিব,
এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হোসেন বিপ্লবসহ
আওয়ামীলীগের অনন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় ভোলা জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন শেষে কমিটিতে যোগ্য
প্রার্থীদের নাম কেন্দ্র থেকে ঘোষনা করা হবে বলেন হুসেইন মুহম্মদ
এরশাদ।